রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: আর পাঁচটা সংসারের মতো প্রায়ই অশান্তি হত। কিন্তু সেই অশান্তির জেরে যে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে, তা আন্দাজ করতে পারেনি কেউ। মঙ্গলকোটের (Mongolkot) সাগিরা গ্রামে ঘুমন্ত স্ত্রীর গলা কেটে খুন (Murder) করল স্বামী। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর গলা কেটে খুন স্বামীর-
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার বয়স বছর আঠাশ। বছর দশেক আগে পেশায় মোটর গ্যারাজের কর্মী তাপস দাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোটের সাগিরা গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সাংসারিক অশান্তির জেরেই স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের তিন বছরের পর থেকেই অভিযুক্ত তাপস দাসের মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। নিহত স্ত্রীর কাকা জানাচ্ছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কারণে অকারণে প্রায়ই অশান্তি হত। শুক্রবার রাতে তাঁরা জানতে পারেন যে জামাই ভাইঝির গলা কেটে খুন করেছে। তাঁরা মঙ্গলকোট থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আরও পড়ুন - Purba Bardhaman News: কেতুগ্রামে স্ত্রীর কব্জি কাটার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি স্বামীর
রেণু খাতুন কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি অভিযুক্তের-
অন্যদিকে, রেণু খাতুনের কব্জি কাটার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে অভিযুক্ত স্বামী। স্ত্রীর কব্জি কাটার ঘটনার পুনঃনির্মান করতে এসে প্রধান অভিযুক্ত শের মহম্মদ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলে, 'ছোট্ট ঘটনার জন্য এতবড় ঘটনা ঘটিয়ে ফেললাম। সেজন্য অনুশোচনা হচ্ছে। স্ত্রীর চাকরি পাওয়ার জন্য আমি লড়েছি। স্ত্রী চাকরি করুক এটা আমি চাইছিলাম। কিন্তু বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই এই কাণ্ড ঘটেছে।' বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও কার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, তা খোলসা হয়নি এখনও পর্যন্ত। কেতুগ্রাম থানার আইসি সুমন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেতুগ্রামে কব্জি কাটার ঘটনার পুনঃনির্মানের জন্য চার অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারা গোটা ঘটনা পুলিশের সামনে ফের দেখিয়েছে। প্রত্যেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।