নয়াদিল্লি: ২০১০ সালের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, খেলা শেষ হওয়ার পর হরভজন সিংহকে মারার জন্য হোটেলের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের এই প্রাক্তন পেসার নিজেই এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন। ১০ বছর আগের সেই ঘটনা প্রসঙ্গে শোয়েব বলেছেন, ‘আমি হরভজন সিংহের সঙ্গে লড়াই করার জন্য হোটেলের ঘরে চলে গিয়েছিলাম। ও আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করত, লাহৌরে আমাদের সঙ্গে ঘুরত, আমাদের সংস্কৃতি একইরকম, ও আমাদের পঞ্জাবি ভাই, তারপরেও কেন আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে? সেই কারণেই আমি ভেবেছিলাম হোটেলে গিয়ে ওর সঙ্গে ঝামেলা করব। ও জানত শোয়েব আসছে। কিন্তু আমি ওকে খুঁজে পাইনি। পরের দিন আমার মেজাজ ঠান্ডা হয়। হরভজনও আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়।’


সেবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা। শোয়েব যে ম্যাচের কথা উল্লেখ করেছেন, সেটি হয়েছিল ডাম্বুলায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। এক বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ১১ বলে ১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ভারতে জেতান হরভজন। তিনি দু’টি ছক্কা মারেন। সেটা নিয়েই শোয়েবের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়।

৪৭-তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন হরভজন। সেই ওভারে বোলিং করছিলেন শোয়েব। তিনি এরপর হরভজনের পাঁজর লক্ষ্য করে দু’টি বাউন্সার দেন এবং তাঁর উদ্দেশে কিছু মন্তব্য করেন। হরভজনও পাল্টা তেড়ে যান। শেষপর্যন্ত অবশ্য হরভজনই জয়ী হন। শেষ ২ বলে জয়ের জন্য ৩ রান দরকার ছিল ভারতের। মহম্মদ আমিরের বলে ছক্কা মেরে খেলা শেষ করে দেন হরভজন।

সেই ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতের এই অফস্পিনার জানিয়েছেন, ‘শোয়েব আমাকে হুমকি দিয়েছিল, হোটেলে আমার ঘরে গিয়ে মারবে। তখন আমি ওকে বলেছিলাম, ‘এসো, দেখা যাবে কে কাকে মারে।’ কিন্তু আমার ভয় লাগছিল। ওর বিরাট চেহারা। ও একবার একটি ঘরের মধ্যে আমাকে আর যুবিকে (যুবরাজ সিংহ) মেরেছিল। ওর ওজন বেশি হওয়ায় ধরা যাচ্ছিল না।’

শোয়েবের সঙ্গে যখন হরভজনের ঝামেলা হয়, তখন ক্রিজে অপরপ্রান্তে ছিলেন সুরেশ রায়না। তিনি জানিয়েছেন, ‘ভাজ্জু পা লড়াকু ছিল। আমার মনে আছে, শোয়েব আখতারের সঙ্গে ওর কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তারপর ও ছক্কা মেরে আমাদের জেতায়।’