হোবার্ট: দুইবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে এই বারে সরাসরি সুপার ১২-র বদলে প্রথম রাউন্ডে খেলেই সুপার ১২-এ কোয়ালিফাই করতে হত। তবে চরম ব্যর্থ হল নিকোলাস পুরানের নেতৃত্বাধীন দল। প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের পর আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে (West Indies vs Ireland) নয় উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকেই গেলেন পুরানরা। ১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আয়ার্ল্যান্ড প্রথম রাউন্ডের গণ্ডি টপকাতে পারল। সৌজন্যে পল স্টার্লিং (Paul Striling) ও গ্যারেথ ডিলেনি (Gareth Delany)।
ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পুরান। তবে ভাল পিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুটা একেবারেই ভাল করতে পারেনি। কাইল মায়ের্স মাত্র এক রানে সাজঘরে ফেরেন। এভিন লুইসও রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হন। ১৮ বলে মাত্র ১৩ রান করেন তিনি। জনসন চার্লস ২৪ রান করেন। ব্র্যান্ডন কিংই ৪৮ বলে ৬২ রানের ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একমাত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তবে নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে কখনই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বড় রানের দিকে এগোতে পারেনি। শেষমেশ পাঁচ উইকেটে ১৪৬ রানেই থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ডিলেনি আয়ার্ল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক তিন উইকেট নেন। আইরিশদের হয়ে ব্যারি ম্যাকার্থি ও সিমি সিংহও একটি করে উইকেট নেন।
আইরিশদের আগ্রাসী ব্যাটিং
১৪৭ রানের লক্ষ্য খুব বড় না হলেও আয়ার্ল্যান্ড শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকে। পাওয়ার প্লেতেই স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বালবার্নি ৬৪ রান তুলে ফেলেন। আকিল হোসেন এক ওভারে ১৬ রান দিলেও, তিনিই অষ্টম ওভারে বালবার্নিকে আউট করেন। ৩৭ রান করে আউট হন আইরিশ অধিনায়ক। তবে বালবার্নি আউট হলেও, স্টার্লিং নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। তাঁকে সঙ্গ দেন লরকন টাকার। দুই জনে মিলে আয়ার্ল্যান্ডের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান।
৩২ বলেই স্টার্লিং নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। টাকার কিছুটা ভাগ্যেরও সহায়তা পান। ওডিন স্মিথের বলে টাকার আউট হলেও, তা নো বল হওয়ায় জীবনদান পান টাকার। শেষ পর্যন্ত স্টার্লিং ও টাকারই অপরাজিত থেকে আইরিশদের জয় এনে দেন। ১৫ বল বাকি থাকতে নয় উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় আয়ার্ল্যান্ড। স্টার্লিং ৪৮ বলে ৬৬ ও টাকার ৩৫ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন।