চণ্ডীগড়: বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৭১ নট আউট করা হরমনপ্রীত কৌর এখন গোটা দেশের চোখের মণি। পঞ্জাবের মোগার এই মেয়েটি ভেসে যাচ্ছেন পুরস্কার আর অভিনন্দনের বন্যায়। বিসিসিআই ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, ভারতীয় দলের প্রত্যেক সদস্যকে ৫০ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেবে তারা।


কিন্তু এই হরমনপ্রীতই ২০১০-১১ সালে রাজ্য সরকারের কাছে চাকরি চেয়েও পাননি। তাঁর আবেদনপত্র কার্যত বাজে কাগজের ঝুলিতে ফেলে দেয় পঞ্জাব সরকার। অথচ হরমনপ্রীন তখন আনকোরা কেউ নন, দেশের হয়ে বছরদুয়েক খেলে ফেলেছেন।

হরমনপ্রীতের কোচ ইয়াদবিন্দর সোধি জানিয়েছেন, সে সময়টা তাঁর ছাত্রীর অত্যন্ত চাকরির দরকার ছিল। তাই কাজের জন্য পঞ্জাব পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু পঞ্জাব পুলিশ তাঁকে জানিয়ে দেয়, মহিলা ক্রিকেটারদের তারা চাকরি দেয় না। এমনকী এক বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক মুখের ওপর মন্তব্য করেন, ও কি হরভজন সিংহ নাকি যে ডিএসপির চাকরি দেব!

ইনস্পেক্টরের চাকরিও পাননি হরমনপ্রীত। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন এ ব্যাপারে, লাভ হয়নি কোনও। ২০০৯ থেকে ক্রিকেট মাঠে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন তিনি, কোনও রাজনীতিকের সময় হয়নি একবার তাঁর বাড়ি আসার।

এই মুহূর্তে পশ্চিম রেলওয়েতে চাকরি করেন হরমনপ্রীত। ৪ বছর আগে সচিন তেন্ডুলকরের সুপারিশে কাজটি পান তিনি। রাজ্যসভা সাংসদ সচিন হরমনপ্রীতের নাম চাকরির জন্য সুপারিশ করে তৎকালীন রেলমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন।

পঞ্জাবের অকালি-বিজেপি বা এখনকার কংগ্রেস সরকার তো ওকে একটা চাকরিও দিতে পারত! বলছেন হরমনপ্রীতের গর্বিত কোচ।