হোবার্ট: বিশ্বের সেরা পেস বোলারদের তালিকায় নিঃসন্দেহে উঠে আসে প্রাক্তন লঙ্কা পেসার লসিথ মালিঙ্গার নাম। প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের সামনে রীতিমতো ত্রাস ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মালিঙ্গাকেই সেদিন প্রায় গলিস্তরে বোলারের পর্যায়ে নামিয়ে এনেছিলেন বিরাট কোহলি। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের ব্যাট থেকে সেদিন মালিঙ্গার ওভারে বেরিয়েছিল মোট ২৪ রান। ৬টি বল ছিল যথাক্রমে ২,৬,৪,৪,৪,৪। দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে হোবার্টে লঙ্কা বধ বিরাটের। আজকের ওস্তাদের মার সিরিজে আমাদের প্রতিবেদন সেই ইনিংস নিয়েই -


টানা আড়াই বছরের ওপরে এখন মানুষটার ব্য়াটে সেঞ্চুরি নেই। একের পর এক সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে তাঁকে নিয়ে। কিন্তু ২০১৯ সালের আগে পর্যন্ত বিরাট কোহলি ছিলেন একেবারে রান মেশিন। শুধুমাত্র বিপদের সময় ত্রাতা হয়ে ওঠাই নয়। একের পর এক ম্যাচে ব্য়াট হাতে ভেঙে গিয়েছেন একের পর এক রেকর্ড। ২০১২ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হোবার্টে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। 


সেই ম্যাচের আগে আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি ঝুলিতে ছিল  বিরাটের। তখনও কিং কোহলি হয়ে ওঠেননি তিনি। কিন্তু সেদিনের পর থেকেই চেস মাস্টার তকমা পেয়ে যান প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। সামনে বিশাল লক্ষ্যমাত্রা। ৩২১ রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে দুরন্ত জয় ভারতের। যার পুরো কৃতিত্বই ছিল বিরাটের। সচিন, সেহওয়াগ, গম্ভীর প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে একার হাতে দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতান বিরাট। ৮৬ বলে অপরাজিত ১৩৩ রানের ইনিংসে ১৬টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন কোহলি। প্রথমে গম্ভীর ও পরে রায়নার সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে ১৩ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ বের করে নেন বিরাট।


সেদিনের ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে শতরান হাঁকিয়েছিলেন তিলকরত্নে দিলশান (১৬০) ও কুমার সাঙ্গাকারা (১০৫)। জবাবে ব্য়াট করতে নেমে ৩০ রান করে প্য়াভিলিয়নে ফেরেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। ৩৯ রান করে ফেরেন সচিন তেন্ডুলকর। এরপর অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন গৌতম গম্ভীর (৬৩)। রায়না ৪০ রান করে অপরাজিত থেকে যান শেষ পর্যন্ত।