নয়াদিল্লি: আইপিএল, টি২০ ফরম্যাটের এই ক্রিকেটের সঙ্গে কোনওভাবেই তুলনা হয় না ক্রিকেটের টেস্ট সিরিজের। কিন্তু যদি সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে দেখা যায় তাহলে টি২০ ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে ১৯৩০ সালে খেলা এক টেস্ট সিরিজের তুলনা চলে আসে।


১৯৩০-এর সেই টেস্ট সিরিজে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান ডন ব্র্যাডম্যান পুরো টেস্ট সিরিজটা খেলে যে রান সংগ্রহ করেছিলেন, পুরো একটি টি২০ টুর্নামেন্ট খেলে তার থেকে মাত্র এক রান কম সংগ্রহ করলেন ৮৬ বছর বাদে, বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি।

তুলনাটা কার্যত হচ্ছে, ১৯৩০ সালের পাঁচটা টেস্ট ভার্সেস সদ্য শেষ হওয়া আইপিএল-এর ১৬টি গেমের মধ্যে। ৭টি টেস্ট ইনিংস ভার্সেস ১৬টি টি২০ ম্যাচ এবং ক্রিকেটের সবচেয়ে শুদ্ধ ফরম্যাট ভার্সেস বর্তমানের টি২০ ফরম্যাটের মধ্যে। প্রসঙ্গত, ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডে এই অ্যাসেজ সিরিজ খেলা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে। সেখানেই ৫টা টেস্ট সিরিজে সাতটা ইনিংস খেলে ব্র্যাডম্যান সংগ্রহ করেছিলেন ৯৭৪ রান, গড় ছিল ১৩৯.১৪।

সেই টেস্ট সিরিজের প্রায় আট দশক পর ২০১৬ সালে, বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি সদ্য শেষ হওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সংগ্রহ করলেন ৯৭৩ রান, গড় ৮১.০৮। ব্র্যাডম্যানের থেকে মাত্র এক রান পিছনে। যদিও ক্রিকেটের দুটি ফরম্যাটের মধ্যে কোনও তুলনাই হয় না।

প্রসঙ্গত, ব্র্যাডম্যান তাঁর সারা ক্রিকেট কেরিয়ারে মোট ৬টা ছক্কা মেরেছিলেন। কোহলি সেখানে শুধুমাত্র নবম আইপিএল এই ৩৮টা ছক্কা মেরেছেন।

একদিনের ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত একটা সিঙ্গল টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেল-এর। চ্যাপেল ১৪টা ম্যাচ খেলে ৬৮৬ রান সংগ্রহ করেছেন। তাঁর রেকর্ডের কাছাকাছি রয়েছেন ভারতের সচিন তেন্ডুলকর। ২০০২-০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপে লিটল মাস্টার ১১টি ম্যাচ খেলে ৬৭৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন, গড় ছিল ৬১.১৮।