দোহা: দেখতে দেখতে কাতার বিশ্বকাপ একেবারে শেষলগ্নে চলে এসেছে। চারটি দল ক্রোয়েশিয়া, আর্জেন্তিনা, মরক্কো, ফ্রান্স সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে। তেমনই ব্রাজিল, পর্তুগাল, ইংল্য়ান্ডকে শেষ আট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে। আগামী বুধবার ১৪ ডিসেম্বর প্রথম সেমিফাইনালে নামতে চলেছে আর্জেন্তিনা ও ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু শেষ চারের ম্যাচে অনেক প্লেয়ারকেই পাওয়া যাবে না। 


কোনও নিয়মে সেমিতে পাওয়া যাবে এই প্লেয়ারদের?


নিয়ম বলছে যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে যদি কোনও দলের কোনও প্লেয়ার একটিও হলুদ কার্ড দেখেন গ্রুপ পর্ব বা নক আউটে সেক্ষেত্রে তাঁকে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ পর্যন্ত ধার্য হবে। আর্জেন্তিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচে আকুনা ও মনটিয়েল হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। এর আগে আকুনা এবারের টুর্নামেন্টে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে মনটিয়ের মেক্সিকোর বিরুদ্ধে দেখেছিলেন প্রথম হলুদ কার্ড। ২ বার হলুদ কার্ড দেখায় ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারবেন না ২ ফুটবলার। 


মুখ খুললেন রোনাল্ডো


নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে রোনাল্ডো লেখেন, 'পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা আমার কে রিয়ারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল। সৌভাগ্যবশত আমি আন্তর্জাতিক স্তরে বহু খেতাব জেতার পাশাপাশি পর্তুগালের হয়েও ট্রফি জিতেছি। গোটা বিশ্বে আমার দেশের মুখ উজ্জ্বল করাটাই আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। আমি এই স্বপ্ন সত্যি করার জন্য প্রচুর খেটেছি। ১৬ বছরের ধরে আমি পাঁচটি বিশ্বকাপে মহান খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাঁধ কাঁধ মিলিয়ে পর্তুগালের হয়ে লড়েছি। সবসময় পর্তুগিজরা আমায় সমর্থন করেছে এবং আমিও দেশের হয়ে আমার সবটা উজার করে দিয়েছি। কখনও লড়াই থেকে পিছিয়ে আসিনি। তবে দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন সার্থক হয়নি। এই হতাশার মধ্যে হঠাৎ করেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।'


বিশ্বকাপ চলাকালীনই রোনাল্ডো এবং পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো স্যান্তোসের মধ্যে মনোমালিন্যের খবর শিরোনাম কেড়েছিল। রোনাল্ডোকে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের আগেই মাঠ থেকে তুলে নেওয়া শুরু হয় ঝামেলা। এরপর শেষ দুই ম্যাচে পর্তুগালের প্রথম একাদশে রোনাল্ডোকে সুযোগ দেননি স্যান্তোস। জল্পনা শোনা গিয়েছিল যে সুযোগ না পেয়ে রোনাল্ডো এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি নাকি একসময় বিশ্বকাপের মাঝপথেই পর্তুগাল দল ছেড়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। সেইসব জল্পানারও জবাব দেবেন তিনি।