মুম্বই: খেলা ছাড়ার পর সিএবি সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন। এবার বিসিসিআই সভাপতি হতে চলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিসিসিআই সভাপতি পদে নির্বাচনে সর্বসম্মতিতে মনোনয়নের জন্য তাঁর নাম পেশ করা হয়েছে। ২৩ তারিখ সৌরভ নেবেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সর্বোচ্চ দায়িত্ব। তিনিই প্রথম কোনও প্রাক্তন অধিনায়ক, যিনি বোর্ডের সর্বোচ্চ পদে বসবেন।


এ বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেছেন, ‘আমি এই দায়িত্ব পেয়ে খুশি। কারণ, গত তিন বছরে বিসিসিআই-এর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিসিসিআই ভাল জায়গায় নেই। আমার কাছে ভাল কিছু করার সুযোগ এসেছে।। আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হই বা লড়াই হোক, এটা বড় দায়িত্ব। কারণ, ক্রিকেটবিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থা হল বিসিসিআই। ভারত হল ক্রিকেটবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ। ফলে এই দায়িত্ব আমার কাছে চ্যালেঞ্জের। আমি দেশের হয়ে খেলেছি এবং অধিনায়কত্ব করেছি। ফলে নয়া দায়িত্ব পেয়ে দারুণ লাগছে।’

সৌরভ আরও বলেছেন, ‘বিসিসিআই-এর নয়া নিয়ম অনুযায়ী, একজন ক্রিকেট প্রশাসক টানা ৬ বছর দায়িত্বে থাকতে পারেন। আমাদের সেটা মেনে নিতে হবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের দিকে নজর দেওয়াই আমার প্রথম কাজ হবে। আমি প্রশাসক কমিটিকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কথা শোনা হয়নি। আমি রঞ্জি ট্রফি এবং ক্রিকেটারদের আর্থিক স্বার্থের বিষয়টি দেখব। সবার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেব।’

গতকাল গভীর রাতে নাটকীয় পালাবদলের পর সভাপতি পদে উঠে আসে সৌরভের নাম। ব্রিজেশ পটেলের নাম প্রায় ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও রাতের এক বৈঠকে সব হিসেব উল্টে দেয় বলে খবর সূত্রের। এ প্রসঙ্গে সৌরভ বলেছেন, ‘আমি যখন বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসি, তখন জানতাম না সভাপতি হব। সাংবাদিকরা আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, আমি বলেছিলাম ব্রিজেশ সভাপতি হচ্ছেন। আমি যখন ফের বৈঠকে যোগ দিই, তখন জানতে পারি পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। আমি এর আগে কোনওদিন বিসিসিআই-এর নির্বাচনে যোগ দিইনি। ফলে জানতাম না কী হয়।’

শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌরভ। তবে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র হয়ে প্রচার করার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি।