নয়াদিল্লি:  দেশের প্রথম মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করে ইতিমধ্যেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তিনি। এবার লক্ষ্য অলিম্পিকে পদক-জয়। এখন সেই স্বপ্নকেই স্বার্থক করতে মগ্ন দীপা কর্মকার।


রিও গেমসে পদক জিতে অলিম্পিকের টিকিট হাতে পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন দীপা। আগামী অগাস্ট মাসে এই শহরেই বসছে অলিম্পিকের আসর। তার আগে ভীষণ আশাবাদী শোনাল দীপাকে। জানালেন নিজের স্বপের কথা।

২২ বছরের দীপা বলেন, প্রথম যেদিন থেকে জিমন্যাস্টিক্স শুরু করেছি, সেদিন থেকেই অলিম্পিককে মাথায় রেখেছি। আমি সবসময় অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে দেশকে পদক দেওয়ার স্বপ্ন দেখে এসেছি। এখন সেই স্বপ্নপূরণের সুযোগ এসেছে আমার কাছে।

তিনি আরও জানান, অলিম্পিকে পদক জেতার জন্য তিনি আরও বেশি করে পরিশ্রম ও অনুশীলন করবেন। বলেন, (অলিম্পিকে পদক জিতে) আরও ইতিহাস রচনা করতে চাই। সেটাই আমার লক্ষ্য। আর তা পূরণ করতে আমি কোনও কসুর করব না।

তবে, অলিম্পিকের ছাড়পত্র পাওয়াটা এত সহজে হাতে আসেনি দীপার। ত্রিপুরার মেয়ে দীপা বলেন, গত নভেম্বরেই আমি যোগ্যতা অর্জন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আমি প্রথম তিনজনের মধ্যে শেষ করতে পারিনি। আমি পঞ্চম স্থানে এসেছিলাম। তাই রিও-র চ্যাম্পিয়নশিপ আমার কাছে শেষ সুযোগ ছিল। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরে আমি খুশী।

অলিম্পিকের আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স বিভাগের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন দীপা। তাঁর স্কোর ছিল ৫২.৬৯৮। তিনিই দেশের প্রথম মহিলা যিনি জিমন্যাস্টিক্সে অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এছাড়া গত ৫২ বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় জিমন্যাস্ট অলিম্পিকে অংশ নেবেন। প্রসঙ্গত,  ১৯৬৪ সালে শেষবার অলিম্পিকে ভারতীয় জিমন্যাস্টদের দেখা গিয়েছিল।

তবে, এসবের মধ্যেও নিজেকে তারকা বলে ভাবতে রাজি নন দীপা। তিনি যোগ করেন, অলিম্পিকের প্রস্তুতির জন্য এদেশে পরিকাঠামোর গুণগত মান ভাল। তিনি  জানান, এখানে ফোম পিট রয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর সুবিধার্থে নতুন স্প্রিংবোর্ডও আসছে। এখন অলিম্পিকের স্বপ্নেই মগ্ন দীপা..।