কলম্বো: সদ্যই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২-০ টেস্ট সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। তবে এরপরই একদিনের সিরিজ ৫-০ এবং টি ২০ সিরিজ ৩-০ হারে শ্রীলঙ্কা।

সিরিজ সেরে দেশে ফিরে শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক দীনেশ চন্ডীমল যে দাবি করেছেন তাতে চমকে গিয়েছে ক্রিকেট মহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপের মুখে পড়েছেন চন্ডীমল। তাঁর দাবি, তুকতাকের ফলেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

প্রথম টেস্টে চন্ডীমলের দুর্দান্ত ১৫৫ রানের ইনিংস শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিত গড়ে দেয়। তাঁর ইনিংসে ভর করেই বড় রান তোলে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় টেস্টেও শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে দলকে বড় রান তুলতে সাহায্য করেন।

চন্ডীমল টেস্টে জয়কে তুকতাকের ফল হিসেবে অভিহিত করেছেন। চন্ডীমল বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে টেস্ট সিরিজের আগে তিনি এক মেয়নি বা ওঝার আশীর্বাদ পেয়েছিলেন। তিনি বলেছেন,‘সাফল্যের জন্য যে কোনও মানুষের আশীর্বাদ নিতে আমি সব সময় রাজি আছি। সে তিনি পাদ্রী হন বা মেয়নি।’

‘কারও প্রতিভা থাকতেই পারে। কিন্তু এই আশীর্বাদ ছাড়া কেউ এক পা-ও এগোতে পারে না।’

উল্লেখ্য, ক্রমাগত হারের মুখে পড়া দলকে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী ওঝার দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে খবর বেরিয়েছিল। এক সপ্তাহ আগেই সেই খবর অস্বীকার করেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তিনি সংশ্লিষ্ট ওঝার বিরুদ্ধে মামলারও হুমকি দিয়েছিলেন।

শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক নেতা, শিল্পপতি থেকে শুরু করে ক্রীড়া তারকাদের তুকতাক ও ভাগ্যগণনার ওপর নির্ভরতা নতুন কিছু নয়। দু’বছর আগে ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপক্ষ তাঁর ব্যক্তিগত জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করেই নির্বাচনে এগিয়েছিলেন। যদিও সেই নির্বাচনে হেরে যান তিনি।

চন্ডীমব জানিয়েছেন, তিনি তুকতাকে পারদর্শী এক মহিলার কাছে আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন। ওই মহিলা তাঁর এক বন্ধুর মা।