নয়াদিল্লি: বিরাট কোহলির বদলে ভারতের একদিনের দলের অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার নাম ঘোষণার পর থেকেই বিসিসিআই-এর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। বিরাট নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন না তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানায়নি বিসিসিআই। এর ফলে জল্পনা বেড়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের দাবি, বিরাটকে অসম্মানজনকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বিসিসিআই এবং বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন।


কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতায় ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারলেও, টি-২০ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে বিরাটের রেকর্ড দুর্দান্ত। এই দুই ফর্ম্যাটে তাঁর ব্যক্তিগত রেকর্ডও উজ্জ্বল। সেই কারণেই তাঁকে একদিনের দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে এত প্রশ্ন উঠছে।


ভারতের একদিনের দলের অধিনায়ক হিসেবে ৯৫টি ম্যাচ খেলে ৬৫টিতে জয় পেয়েছেন বিরাট। হার ২৭টি ম্যাচে। তাঁর নেতৃত্বে ৫০টি টি-২০ ম্যাচ খেলে ৩০টিতেই জয় পেয়েছে ভারত। অধিনায়ক হিসেবে যাঁরা অন্তত ৫০টি ম্যাচ খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে হার-জিতের ক্ষেত্রে চার নম্বরে বিরাট। তাঁর আগে শুধু ক্লাইভ লয়েড, রিকি পন্টিং ও হ্যান্সি ক্রোনিয়ে।


ব্যাটসম্যান হিসেবে বিরাটের রেকর্ড দলগত সাফল্যের চেয়েও ভাল। তিনি ভারতের একদিনের দলের অধিনায়ক হিসেবে ৭২.৬৫ গড়ে ৫,৪৪৯ রান করেছেন। যে কোনও অধিনায়কের এটাই সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়। ৫৩.৫৫ গড় নিয়ে এই তালিকার চার নম্বরে ধোনি। বিরাটের এই রেকর্ডই তাঁর সাফল্যের প্রমাণ দিচ্ছে। তারপরেও তাঁকে কেন একদিনের দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, সেটা স্পষ্ট নয়।


রোহিত অধিনায়ক হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। তবে তারপরেও বিরাটকে যে পদ্ধতিতে সরিয়ে দেওয়া হল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পদত্যাগ করার জন্য বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে বিরাটকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিরাট সম্মানজনকভাবে সরে যাওয়ার শর্তে সাড়া দেননি। সেই কারণেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।