কাজান: আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের শেষ আটের লড়াই। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বেলজিয়ামের মুখোমুকি হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। দু’দল বিশ্বকাপে এর আগে মুখোমুখি হয়েছে মাত্র একবার। ২০০২-এ পঞ্চমবার বিশ্বজয় করার পথে শেষ ষোলোর ম্যাচে বেলজিয়ামকে সহজেই ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। গোল করেছিলেন রিভাল্ডো ও রোনাল্ডো। আগামীকালও সেরকম ফলই আশা করছেন ব্রাজিলের সমর্থকরা। ফিফা রাঙ্কিংয়ে ব্রাজিল এই মুহূর্তে রয়েছে দু’ নম্বরে। একধাপ নীচে বেলজিয়াম। কোনও সন্দেহ নেই, দু’দলের লড়াই হতে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি।


এবারের বিশ্বকাপে অবশ্য অন্যতম শক্তিশালী দল বেলজিয়াম। রোমেলু লুকাকু, ইডেন হ্যাজার্ডরা দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। শেষ ষোলোর ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েও যেভাবে ৩-২-এ ম্যাচ জিতে নিয়েছে বেলজিয়াম, তাতে সমর্থকরা ব্রাজিলের বিরুদ্ধেও জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। তবে ব্রাজিলের রক্ষণ জমাট। এবারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি গোল হজম করেছে তিতের দল। তাই লুকাকুদেরও আটকে দেওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী থিয়াগো সিলভা, মিরান্ডারা।

আগামীকাল ব্রাজিল শিবিরের সবচেয়ে বড় ভরসা নেইমার। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করে ও করিয়ে এখন ব্রাজিলের সমর্থকদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তিনি। জাপানের বিরুদ্ধে ম্যাচে বেলজিয়াম রক্ষণের ত্রুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারই সুযোগ নিতে চাইবেন ব্রাজিলের স্ট্রাইকাররা। ব্রাজিলের কোচ তিতে এই ম্যাচে ভরসা করছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উইলিয়ানের উপর। কারণ, প্রতিপক্ষের সেরা প্লেমেকার হ্যাজার্ড চেলসিতে খেলেন উইলিয়ানের সঙ্গেই। তাই ব্রাজিলের মাঝমাঠের এই খেলোয়াড় ভাল করেই জানেন হ্যাজার্ডের শক্তি ও দুর্বলতা কোথায়। বেলজিয়াম এবারের বিশ্বকাপে ৩-৪-৩ ফর্মেশনে খেলছে। বিপক্ষের কোচ রবার্তো মার্টিনেজের এই আক্রমণাত্মক ছককে চাপের মুখে ফেলতে তিতে তাঁর দলকে খেলাতে পারেন ৪-৩-৩ ছকে।

এই ম্যাচের আগে ব্রাজিল শিবিরে ভাল খবর, চোট সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাওলিনহো, মার্সেলো, ডগলাস কোস্তারা। ভাল খেলতে মরিয়া কুটিনহোও। দু’টি হলুদ কার্ড দেখায় এই ম্যাচে দলের বাইরে থাকা ক্যাসেমিরোর জায়গায় খেলতে পারেন ফার্নান্দিনহো।