করাচি: পাকিস্তানের ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনে লড়ছেন ইমরান খান। তার আগে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার-রাজনীতিক। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রতিষ্ঠাতার দাবি, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ভারত সরকারের 'আগ্রাসী পাকিস্তান-বিরোধী অবস্থানে'র জন্যই দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলতি অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
ডন সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ইমরান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শুধরোতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন শরিফ, এমনকী মোদীকে নিজের বাড়িতে ডাকার মতো ব্যক্তিগত উদ্যোগও নিয়েছিলেন। কেউ তাঁকে বাধা দেয়নি। কিন্তু মনে হয়, নরেন্দ্র মোদী সরকারের পাকিস্তানকে একঘরে করার চেষ্টাই অন্তরায় হল। আগ্রাসী পাক-বিরোধী মানসিকতা ওদের। তার সামনে কী করা সম্ভব? প্রসঙ্গত, মোদী ২০১৫-র ডিসেম্বরে পাকিস্তান গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৬-র জানুয়ারি পঠানকোটে, সেপ্টেম্বরে উরিতে পাকিস্তানে আশ্রয় পাওয়া সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় দু দেশের সম্পর্ক মার খেয়েছে।
পাক বিদেশনীতির ওপর সেনার প্রভাব সম্পর্কে ইমরান বলেন, নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার পরিস্থিতিতে সেনাকে জড়াতে হবে। আফগানিস্তানে মার্কিন পলিসির দিকে তাকান, দেখা যাবে তার অনেকটাই পেন্টাগনের প্রভাবে নেওয়া। এমনকী বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকার সময় আফগানিস্তানে যে যুদ্ধ চালাতে চাননি, সেটাও পেন্টাগন তাঁকে বুঝিয়েছিল বলে।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে বরাবর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে সেনাবাহিনীর। পাকিস্তান গঠনের পর ৭০ বছরের ইতিহাসে ৩৩-র বছরের বেশি শাসন করেছে তারা।
ইমরান বলেছেন, পাক রাজনীতিতে সেনার প্রভাবের কারণ দেশের রাজনৈতিক দলগুলি সবচেয়ে খারাপ সরকার চালিয়েছে। বলছি না, সেনাশাসন কাম্য, কিন্তু শূন্যতা থাকলে তা কেউ না কেউ না ভরাট করে। দুর্নীতিগ্রস্ত, অপদার্থ সরকার দেখে দেখে বিরক্ত মানুষ সেনাকেই মেনে নেয়। তিনি ১৯৯৯ এ তত্কালীন সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মুশারফের রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানের উদাহরণ দেন, যখন লোকে শরিফ সরকারের বিদায়ে উল্লাস প্রকাশ করেছিল।