লন্ডন: বাংলাদেশ ৩৩০/৬। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৯/৮। দ্য ওভালে বাংলাদেশ জিতল ২০ রানে। আর এই জয় দিয়েই নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল বেঙ্গল টাইগাররা। অন্যদিকে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের কাছে পরপর হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। বুধবার এই আফ্রিকান দলই মুখোমুখি হবে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ভারতের।





এদিন দ্য ওভালে টসে জিতে বাংলাদেশকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। তবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি প্রোটিয়াসরা। লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদাদের পেস এবং সুইং সেভাবে আঘাতই আনতে পারেননি। শাকিব-মুশফিকুর-মাহমদ্দুলাহদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি অভিজ্ঞ স্পিনার ইমরান তাহিরও। তামিম, সৌম্যর ওপেনিং জুটি বড় স্কোর দাঁড় করাতে না পারলেও বাংলাদেশকে শক্ত ভীত গড়ে দেয় নম্বর তিন ও চার, শাকিব (৭৫) ও মুশফিকুর (৭৮)। এই বাঁ হাতি, ডান হাতি জুটির যুগলবন্দিতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনশতাধিক স্কোর করে বাংলাদেশ। সঙ্গে অবশ্যই বলতে হয়ে মাহমদ্দুলাহর কথাও। ওর ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংসের সুবাদেই বিপক্ষের সামনে ৩৩১ রানের বিশাল টার্গেট রাখতে পারে মোর্তাজার দল।



জবাবে ব্যাট করতে নেমেই ঝটকা লাগে প্রোটিয়ো শিবিরে। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন ডি কক। এরপর মার্ক্রাম ও অধিনায়ক দু প্লেসি হাল ধরেন। দীর্ঘ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠার আগেই মার্ক্রামকে ফেরান শাকিব। ৬২ রানের ইনিংস খেলে মেহেদি হাসানের বলে বোল্ড হন দু প্লেসি। এরপর একেরপর এক মিলার (৩৮), দুমিনি (৪৫), মরিসরা এসেছেন তবে, যে ধরনের পারফর্ম্যান্সে ৩৩১ রানের টার্গেটে পৌঁছনো যায় তেমন ব্যাটিং করতে পারেননি কেউই। মূলত মেহেদি ও শাকিবের স্পিন দিয়েই আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের আটকে রেখেছেন মোর্তাজা। শেষ পর্যন্ত ৩০৯ রানেই থামে দু প্লেসির দল। নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছেন বাংলাদেশের তরুণ তারকা সাইফুদ্দিনও। ২টি উইকেটও পেয়েছেন এই পেস বোলার। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ২ স্পিনার শাকিব ও মেহেদি। ৩টি উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেছেন মুস্তাফিজুর।