লন্ডন: চলতি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। সেমিফাইনালের দুটি ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে কারা, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে না। ফলে টুর্নামেন্টের সেরা দুটি দলের ফাইনালে টক্কর হতে পারে বলে কেউ কেউ অনুমান করছেন। এমনই সম্ভাবনার মধ্যে হুঙ্কার ছুঁড়লেন অসি ফাস্ট বোলার জুটি মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। দলের নেট অনুশীলনে বৃহস্পতিবার তাঁদের আগুনে বোলিংয়ে আহত হয়েছে দুই সহ খোলোয়াড় শন মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁরা স্টার্ক ও কামিন্সের শর্ট বলে আঘাত পেয়েছেন। এরফলে মার্শ বিশ্বকাপে আর খেলতে পারবেন না। অন্যদিকে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। এই ঘটনা কিন্তু বিপক্ষের শিড়দাঁড়া বেয়ে হিমেল স্রোত বইয়ে দিতে পারে। কেননা, কোনও বোলারই অন্য কোনও খেলোয়াড়, বিশেষ করে, সহ খেলোয়াড়কে আঘাত করতে চাইবেন না। কিন্তু এই ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে, মাঠে নেমে নিজেদের কাজটা নিপুণভাবে সমাধা করতে কতটা মরিয়া স্টার্ক ও কামিন্স। অনুশীলনেও পুরোদস্তুর ম্যাচের মেজাজেই নিজেদের ঝালিয়ে নিতে চান তাঁরা।
ভারতীয় শিবিরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। দলের অনুশীলনে জসপ্রিত বুমরাহর একটা বাউন্সার গোড়ালিতে আছড়ে পড়ায় চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে বিজয় শঙ্করকে।
স্টার্ক স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, মাঠে নেমে দলের হয়ে আসল কাজটা করাই তাঁর লক্ষ্য। গ্রুপ পর্বে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁদের পারফরম্যান্স দেখে বিচার করতে বসাটা একেবারেই ঠিক হবে না। কারণ, দলের খেলোয়াড়রা তখনও যথার্থ ছন্দে আসেনি।
স্টার্ক বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচের পর মাঝের ওভারগুলিতে আমরা নিয়মিত উইকেট নিচ্ছি। আক্রমণাত্মক মনোভাবের থেকেও আমার মনে হয়, সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল পরিকল্পনার সঠিক প্রয়োগ। ভারতের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে আমরা সম্ভবত কিছুটা নিষ্প্রভ ছিলাম..ওদের হাতে উইকেট ছিল এবং শেষের দিকে দ্রুত রান তুলতে পেরেছে।ওই ম্যাচের পর থেকে আমরা পরিকল্পনা প্রয়োগের মাধ্যমে উন্নতি করছি এবং মাথা ঠাণ্ডা রেখেছি।
কোনও চোট আঘাত ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা সাজানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা তৈরি করে। কিন্তু এক্ষেত্রে মার্শ প্রথম একাদশের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন না। আর ম্যাক্সওয়েল সেরে উঠছেন বলেই খবর।
ফাইনালে মুখোমুখি হলে ভারতীয় দলকে অস্ট্রেলিয়ার এই দুই পেসার সম্পর্কে সতর্ক থাকতেই হবে।