নয়াদিল্লি: ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ দল ৬২,৬৫৯.১২ কোটি টাকা। বিগত দুটি অর্থবর্ষের তুলনায় যা সর্বোচ্চ। এই ক্ষেত্রে বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৯-১৯ অর্থবর্ষে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫২,৮০০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এবারের বাজেট বরাদ্দ ৬০,৯০৮.২২ কোটি টাকা। এরমধ্যে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বীমা যোজনা আয়ুষ্মান ভারত-প্রধাননমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (এবি-পিএমজেএওয়াই)-র জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬,৪০০ কোটি টাকা।

এবি-পিএমজেএওয়াই কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান একটি প্রকল্প। দেশের দরিদ্র ১০.৭৪ কোটি পরিবারকে বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিত্সার সংস্থান রয়েছে এই প্রকল্পে।

সার্বিক প্রাথমিক চিকিত্সার সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ন্যাশনাল আরবান হেল্থ মিশনের আওতায় আয়ুষ্মান ভারত হেল্থ ও ওয়েলনেস ক্লিনিকের জন্য ২৪৯.৯৬ কোটি টাকা এবং ন্যাশনাল রুরাল হেল্থ মিশনের আওতায় হেল্থ ও ওয়েলনেস সেন্টার গঠনের জন্য ১,৩৪৯.৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দেড় লক্ষ সাব-সেন্টার ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ২০২২-এর মধ্যে হেল্থ ও ওয়েলনেস সেন্টারে বদলে ফেলা হবে। রক্তচাপ, ডায়েবেটিস, ক্যানসার ও বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিত্সার সুবিধা গড়ে তোলা হবে এই সেন্টাকগুলিতে।

ন্যাশনাল হেল্থ মিশনে গত বছরের ৩০,১২৯.৬১ কোটি টাকা থেকে বরাদ্দ বেড়ে ২০১৯-২০১০ তে হয়েছে ৩২,৯৯৫ কোটি টাকা।

এইমসের জন্য বাজেট বরাদ্দ গত অর্থবর্ষের ৩,০১৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩,৫৯৯.৬৫ কোটি টাকা।

এবারের বাজেটে বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্র ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বিদেশী পড়ুয়াদের আকর্ষিত করতে ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিরও ঘোষণা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেট পেশ করতে গিয়ে সীতারামন বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম সেরা উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কেন্দ্র নতুন একটি জাতীয় শিক্ষানীতি আনবে।  ওই নীতিতে স্কুল ও উচ্চশিক্ষা-উভয়ক্ষেত্রেই বদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনিক ব্যবস্থা উন্নতি ও গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এজন্য দেশে গবেষণার প্রসার ও সমন্বয় সাধনের জন্য ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হবে।