আমদাবাদ: অপেক্ষার অবসান। ভারতের মাটিতে শুরু হতে চলেছে ত্রয়োদশ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ (ODI World Cup)। বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচেই ২০১৯ বিশ্বকাপের অ্যাকশন রিপ্লে। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও নিউজ়িল্যান্ড (Eng vs NZ)। যে দুই দল শেষ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল।


বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল বুধবারই। এদিন আমদাবাদে দশ দলের অধিনায়ক নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক হল। চলল ফটোসশেনও। হাজির ছিলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, পাকিস্তানের বাবর আজ়ম, ইংল্যান্ডের জস বাটলার, অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স, শ্রীলঙ্কার দাসুন শনাকা, বাংলাদেশের শাকিব আল হাসান, নেদারল্যান্ডসের স্কট এডওয়ার্ডস, আফগানিস্তানের হাশমাতুল্লা শাহিদি, দক্ষিণ আফ্রিকার তেম্বা বাভুমা।


প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারলেও, অল ক্যাপ্টেনস’ মিটে হাজির ছিলেন নিউজ়িল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবশ্য তিনি খেলবেন না। নিউজ়িল্যান্ডকে প্রথম ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন টম ল্যাথাম।


পাকিস্তান অভিযান শুরু করছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন। তবে বাবর আজ়মদের (Babar Azam) প্রথম ম্যাচে সহজ প্রতিপক্ষ। নেদারল্যান্ডস। ভারতের প্রথম ম্যাচ রবিবার। চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবেন রোহিতরা।


অধিনায়কদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের রোহিত (Rohit Sharma) বলেন, ‘প্রত্যেক অধিনায়কই চায় দেশের জন্য সেরাটা দিতে। ছোট থেকেই পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখেছি। সব ক্রিকেটারই হয়তো সেই স্বপ্ন দেখেছে। তবে ভারতের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপ উপভোগ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস। স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে যাবে।’


দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা বলেন, ‘সব দলেই এমন ক্রিকেটার রয়েছে যারা ভারতে খেলেছে। ভাল খেলেছে। তাই এখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে সব দলই ওয়াকিবহাল। কৌশল সাজাতে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।’


ভারতের আতিথেয়তায় মুগ্ধ বাবর আজ়ম। বলেছেন, ‘আমরা এইরকম উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রত্যাশা করিনি। সকলেই খুব উপভোগ করছি। এক সপ্তাহ হায়দরাবাদে ছিলাম। মনেই হয়নি ভারতে আছি। ভীষণ মজা হয়েছে। সকলের সামনেই একশো শতাংশ দিয়ে ভাল কিছু করার সুযোগ রয়েছে।’


ইংল্যান্ডের সামনে এবার খেতাব রক্ষার লড়াই। ইংরেজ অধিনায়ক জস বাটলার বলছেন, ‘২০১৫ থেকে কার্যত একই দল ধরে রেখেছি আমরা। দেশে এখন একই ধরনের ক্রিকেট খেলা হয়। আগ্রাসী ক্রিকেটই আমাদের সাফল্যের মন্ত্র। বিশ্বকাপেও সেভাবেই খেলব।’


অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান এমন একটা ম্যাচ যে দ্বৈরথের দিকে প্রায় অর্ধেক বিশ্ব তাকিয়ে থাকে। এরকম ম্যাচ খুব একটা নেই বিশ্বে। ব্যক্তিগতভাবে জড়িয়ে না থাকলেও, সব ক্রিকেটারই এই ম্যাচটা দেখতে চায়। এই স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচটা হবে। দারুণ ব্যাপার। ১ লক্ষের বেশি লোক হবে।’


শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকার কথায়, ‘আমাদের জন্য দারুণ উত্তেজক মুহূর্ত। চোট আঘাত সলম্প্রতি আমাদের বেশ ভুগিয়েছে। পাশাপাশি কিছু রেকর্ড আমাদের পক্ষেও রয়েছে। দল হিসাবে বিশ্বকাপে ভাল খেলতে মুখিয়ে রয়েছি। সবাই চায় ছাপ রাখতে।’


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: স্পিনারদের হাতে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ ভাগ্য, তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবেন রশিদরা?