নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপে (World Cup 2023) নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১০২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল প্রোটিয়া বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪২৮ রান বোর্ডে তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৩২৬ রান বোর্ডে তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা (Srilanka)।
বিরাট লক্ষ্যমাত্রা। শ্রীলঙ্কার হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিশাঙ্কা খাতা খোলার আগেই প্য়াভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর কুশল মেন্ডিস এসে জুটি বাঁধেন পেরেরার সঙ্গে। বিশ্বকাপের আগে থেকেই লঙ্কা ব্য়াটিং লাইন আপের একমাত্র ফর্মে থাকা ব্যাটার মেন্ডিস। এদিনও তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন শ্রীলঙ্কা জয়ের স্বপ্নও দেখছিল। মেন্ডিস এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করছিলেন। ৪২ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ৮টি ছক্কা হাঁকান তিনি। চারিথ আসালাঙ্কা ৬৫ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। ৮টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। লোয়ার অর্ডারে দাসুন শনাকা অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। ৬২ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। এছাড়া কসুন রজিথা ৩৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৩২৬ রানের বেশি আর তুলতে পারেনি লঙ্কা ব্রিগেড।
এদিন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ২ ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও তেম্বা বাভুমা। বাভুমা মাত্র ৮ রান করে ফিরলেও ডি কক ছিলেন চেনা ছন্দে। রাসি ভান ডার ডুসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। দু জনেই শতরান হাঁকান। এরপর সেই তালিকায় যোগ দেন মারক্রামও। ৮৪ বলে ১০০ রান করেন ডি কক। ডুসেন ১১০ বলে ১০৮ রান করেন। আর মারক্রাম আউট যখন হলেন তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৫৪ বলে ১০৬ রান। নিজের ইনিংসে ৩টি ছক্কা ও ১৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন মারক্রাম। বিশ্বকাপের ৪৮ বছরের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকানোর নজির গড়লেন ডানহাতি এই ব্যাটার। মাত্র ৪৯ বলে শতরান পূরণ করেন মারক্রাম। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও ব্রায়েন ৫০ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন। এদিন তাঁর রেকর্ড টপকে গেলেন মারক্রাম। এদিন শ্রীলঙ্কার বোলারদের রীতিমত ক্লাবস্তলে নামিয়ে আনেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। নয়াদিল্লির ছোট মাঠকে একেবারে যথযথ কাজে লাগান ডুসেনরা। দিলশন মধুশনাকা ২ উইকেট নিলেও নিজের ১০ ওভারে ৮৬ রান খরচ করেন। ১০ ওভারে কসুন রজিথা ৯০ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন মাত্র। মাথিসা পাথিরানা মাত্র ১ উইকেট নেন ১০ ওভারে ৯৫ রান খরচ করে।