ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ ভারতীয় কুস্তিগীর অভিযোগ করেছিলেন তাঁর খাবারে নিষিদ্ধ ওষুধ মেশানোর। সেই অভিযোগে দুই জুনিয়র কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করেন নরসিংহ। কিন্তু নাডা-র কাছে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ প্রমাণ করাটাই নরসিংহের কাছে ছিল প্রধান চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হলেন নরসিংহ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হন নরসিংহ। পরে ৫ জুলাই দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও উতরোতে পারেননি তিনি। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন এই কুস্তিগীর।
এদিন নাডার ডিজি নবীন অগ্রবাল নরসিংহকে ছাড়পত্র দিতে গিয়ে এক বিবৃতিতে জানালেন, অতীতে গত ২ জুন পর্যন্ত তাঁর কোনও নমুনা পজিটিভ হয়নি। একবার মাত্র নিষিদ্ধ ওষুধ খেলেই লাভবান হওয়া যাবে, এমনটা মানা যায় না। তাই প্যানেলের সিদ্ধান্ত, মাত্র একবার নিষিদ্ধ ওষুধ সেবন ইচ্ছাকৃত নয়।
অগ্রবাল আরও জানান, প্যানেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, নাডার অ্যান্টি-ডোপিং বিধির ১০.৪ ধারা অনুযায়ী, সন্দেহের অবকাশ (বেনিফিট অফ ডাউট)-এ নরসিংহকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত হয়েছিল, একথা মাথায় রেখে অ্যান্টি ডোপিং আইনে ওই অ্যাথলিটকে অভিযুক্ত করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
এদিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় নাডার দফতরে হাজির ছিলেন নরসিংহ।
ডোপ টেস্টে ফেল হওয়ার পর প্রবীণ রানাকে রিও-গামী দলে নরসিংহর পরিবর্ত হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নাডার সিদ্ধান্তের পর ভারতের কুস্তি ফেডারেশন জানিয়েছে, স্কোয়াডে ফিরিয়ে নেওয়া হবে নরসিংহকে।
গত সপ্তাহে তিনদিনের ম্যারাথন শুনানির শেষে নরসিংহকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নাডা। শুনানিতে নরসিংহর আইনজীবী যুক্তি দেন, প্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড়দের অন্তর্ঘাতের শিকার হয়েছেন এই কুস্তিগীর।