নয়াদিল্লি: তিনি লকার রুম থেকে বেরিয়ে স্টেডিয়ামের দিকে পা বাড়ালেই শুরু হয়ে যেত ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজ়িক। জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে উঠত তাঁর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি। তারপর তিনি স্টেডিয়ামে ঢুকতেন। গুলি ছোড়ার মতো করে পোজ দিতেন। পিছনে সেই তালে তালে ফাটতে শুরু করত আতসবাজি। হুঙ্কার ছেড়ে রিংয়ের দিকে হাঁটা শুরু করতেন। ঘোষক বলে উঠতেন, 'দ্য অ্যানিমাল বাতিস্তা।' (Batista)
পেশিবহুল চেহারা। পেল্লায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের নাস্তনাবুদ করে দিতেন। বাতিস্তা বম্ব ছিল তাঁর ব্রহ্মাস্ত্র। অথচ সেই কুস্তিগীরের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। যেখানে জনপ্রিয় বাতিস্তাকে দেখা যাচ্ছে শীর্ণকায় চেহারায়। ব্লেজার, ট্রাউজার্স, গলায় মুক্তোর মালা, চোখে সানগ্লাস। কিন্তু কোথায় সেই পেশিশক্তির আস্ফালন। যা দেখে প্রতিপক্ষদের রক্তচাপ বেড়ে যেত। এ যেন বাতিস্তার রুগ্ন এক প্রতিচ্ছবি। সুপারস্টার কুস্তিগীর কি অসুস্থ? সোশ্যাল মিডিয়া এই প্রশ্নে তোলপাড়।
পোশাকি নাম ডেভ বাউতিস্তা (Dave Bautista)। সম্প্রতি যাঁকে টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্মোৎসবে (2024 Toronto International Film Festival) দেখা গিয়েছিল শীর্ণকায় চেহারায়। বাতিস্তা নিজেই জানিয়েছেন, কেন চেহারা এরকম হয়েছে।
মার্ভেলের সিনেমা 'গার্ডিয়ানস অফ দ্য গ্যালাক্সি'-তে ড্র্যাক্সের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাতিস্তা। সেই চরিত্রের জন্যই ৫৫ বছরের কুস্তিগীর তথা অভিনেতাকে ওজন ঝরাতে হয়েছে।
একটি সাক্ষাৎকারে বাতিস্তা জানিয়েছেন, ২২ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন তিনি। তার আগে 'নক অ্যাট দ্য কেবিন' সিনেমার জন্য ওজন বাড়িয়ে ১৩৬ কেজি করতে হয়েছিল বাতিস্তাকে। পরের সিনেমার জন্য ওজন কমাতে জুজুৎসু পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন তিনি।
বাতিস্তা জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত ট্রেনার জেসন ম্যানলির সঙ্গে জুজুৎসু অনুশীলন করেছেন তিনি। বুদাপেস্টে তখন 'ডিউন' সিনেমার শ্যুটিং চলছিল। বাতিস্তা জানিয়েছেন, কতটা কঠোর ছিল সেই অনুশীলন। তিনি বলেছেন, 'আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অনুশীলন করতাম। জুজুৎসু সাধনাতেই আমার ৫০ পাউন্ড মতো (আনুমানিক ২২.৬৭ কেজি) ওজন কমে। আমার ওজন কমে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিই, এই ওজনই বজায় রাখব। তাতে ব্রাউন বেল্টটা পেয়ে যাব।'
বাতিস্তা জানিয়েছেন, সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবেই তিনি এই ওজন ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।