রাঁচি: বাজবল থিয়োরি পুরোপুরি বুমেরাং হয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের (England Cricket Team)। প্রথম টেস্টে জয় ছিনিয়ে নিলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে টানা হার। ইংল্যান্ডের বোলিং লাইন আপের সামনে পাল্টা মারমুখি ব্যাটিং করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। চলতি সিরিজে ইতিমধ্যেই দুটো দ্বিশতরান হাঁকিয়ে ফেলেছেন যশস্বী। বিশাখাপত্তনমের পর রাজকোটের ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ভারতের তরুণ ওপেনারের ব্য়াটিং দেখে ডাকেট বলেছিলেন যে কিছুটা কৃতিত্ব ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রাপ্য। ডাকেট মনে করেন যে ইংল্যান্ড যে বাজবল থিয়োরিতে বিশ্বব্যাপী খেলে আসছে, তা দেখেই হয়ত অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন জয়সওয়াল। এবার ডাকেটকেই পাল্টা একহাত নিলেন নাসের হুসেন। 


এক সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ''যশস্বী জয়সওয়াল তোমার থেকে এমন ব্যাটিং করা কখনও শেখেনি। ও এমনভাবেই খেলে বেড়ে উঠেছে। ও আইপিএল থেকেই শিখেছে এমন আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করা। তোমাদের ওঁর ব্যাটিং দেখা উচিত ও শেখা উচিৎ। বাজবল থিয়োরি ভাল। কিন্তু কখনও কখনও একটু পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে।''


 






জয়সওয়াল এখনও পর্যন্ত চলতি টেস্ট সিরিজের ছয় ইনিংসে মোট ৫৪৫ রান করেছেন। গড় ছিল ১০৯। রাজকোটে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জয়সওয়াল। তৃতীয় কণিষ্ঠতম হিসেবে জয়সওয়াল দুটো দ্বিশতরান হাঁকানোর নজির গড়েন। ১৯৯৩ সালে বিনোদ কাম্বলি জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান হাঁকিয়েছিলেন দিল্লিতে। এর ২২ দিন পরে ওযাংখেড়েতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও দ্বিশতরানের ইনিংস খেলেন কাম্বলি। 


ব্র্যাডম্য়ান দ্বিতীয় কণিষ্ঠতম হিসেবে এই নজির গড়েছিলেন ১৯৩০ সালে। টানা দুটো দ্বিশতরান হাঁকিয়েছিলেন ১৪ দিনের ব্যবধানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এর ৩৬ দিন পরে ফের একটি দ্বিশতরান হাঁকান ব্র্যাডম্য়ান।


এদিকে, আইপিএলে যশস্বীর সঙ্গে একই দল রাজস্থান রয়্যালসে খেলেন জস বাটলার। তরুণ ভারতীয়র ব্যাটিং দেখে বাটলার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ''ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ও এমন খেলছে, সেটা খুবই হতাশাজনক। তবে যশস্বী জয়সওয়ালের সাফল্যে খুশি না হওয়াটা খুবই কষ্টকর। ওর কড়া অনুশীলন, পরিশ্রম এবং সাফল্যের খিদে তুলনাতীত এবং তার জেরেই যেটা প্রাপ্য, তা পাচ্ছেও। দুর্দান্ত প্রতিভা।''