মুম্বই: তাঁর বর্ণময় কেরিয়ারে একাধিক সুখস্মৃতি রয়েছে ২২ গজের। ভারতের ২ বার বিশ্বকাপ জয়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (International Cricket) একমাত্র ভারতীয় হিসেবে ছয় ছক্কার মালিক তিনি। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) মঞ্চে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে স্টুয়ার্ট ব্রডকে পিটিয়ে এই নজির গড়েছিলেন। সবাই সেই ইনিংসের কথা জানেন। তবে শুধু ওই একটা ম্যাচ নয়। বাঁহাতি যুবি সেই বিশ্বকাপেই সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হাঁকিয়েছিলেন ৩০ বলে ঝোড়ো ৭০ রানের ইনিংস। তাঁর ব্যাটিং দেখে ম্যাচ রেফারিও চমকে গিয়েছিলেন। আজকে ওস্তাদের মার সিরিজে আমাদের প্রতিবেদন যুবির সেই ইনিংস নিয়েই -


অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭০ রানের দুরন্ত ইনিংস যুবির


ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রপ পর্বে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে মনোবল তুঙ্গে ছিল যুবির। তবে এটি ছিল সেমিফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। প্রতিপক্ষ তখনকার শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪১ রান বোর্ডে তুলতেই ২ উইকেট খুঁইয়ে বসে ভারত। ২ ওপেনার গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দ্র সহবাগের উইকেট দ্রুত হারায় ভারত। এরপর রবিন উথাপ্পাকে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন যুবরাজ সিংহ। ৩৪ রান করে রান আউট হন উথাপ্পা। তবে যুবিকে আটকাতে পারেননি অজি বোলাররা। ৫টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ঝড়ের গতিতে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন যুবি। লোয়ার অর্ডারে ১৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন ধোনি। যুবির বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখে অজি কোচ সেই সময় ম্যাচ রেফারির কাছে যুবির ব্যাট পরীক্ষার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল যে আলাদা কোনও ফাইবার লাগানো হয়েছে ব্যাটে। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড তখনই ডেকে পাঠান তারকা অলরাউন্ডারকে। কিন্তু পরীক্ষার পর অবৈধ কিছুই বের করতে পারেননি তিনি। যুবির ব্যাটের ওপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৮৮ রান তুলে নেয় ভারত।


১৫ রানে জয় ভারতের 


জবাবে ব্য়াট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানই বোর্ডে তুলতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ২টো করে উইকেট পান ইরফান পাঠান ও যোগীন্দার শর্মা ও এস শ্রীসন্থ। প্রত্যাশামতই ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছিলেন সেদিন যুবরাজ। পরে এখ সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি অলরাউন্ডার জানিয়েছিলেন যে ২০০৭ বিশ্বকাপে ও ২০১১ বিশ্বকাপে যে ব্য়াট দিয়ে খেলেছিলেন তিনি তা তাঁর কাছে অত্যন্ত স্পেশাল। যুবির সেদিনের ইনিংস বিশ্ব ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের একক আধিপত্যে কিছুটা বেগ দিয়েছিল।