শাস্ত্রী ট্যুইটারে লিখেছেন, অসংখ্য অভিনন্দন তোমাদের। এটা এমন একটা মুহূর্ত যা তোমরাা চিরদিন উপভোগ করবে, যেমনটা ১৯৮৩-র দলের সদস্যরা করি।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় শাস্ত্রী তাঁর ওই ট্যুইট শুধুমাত্র ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও ব্যাটিং গ্রেট সচিন তেন্ডুলকরকে ট্যাগ করেছেন।
আর এ কথা খুব তাড়াতাড়িই শাস্ত্রীকে জানিয়ে দিতে ভোলেননি ২০১১-র বিশ্বকাপের ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট যুবরাজ সিংহ। কিছুটা তীর্যকভাবেই যুবরাজ ট্যুইট করেন, ধন্যবাদ সিনিয়র! তুমি আমাকে ও মাহিকে ট্যাগ করতে পারো। আমরাও ওই দলের অংশ ছিলাম।
যুবির ওই ট্যুইটের জবাবে শুক্রবার শাস্ত্রী লিখেছেন, বিশ্বকাপের কথা উঠলে তুমি জুনিয়র নও, তুসি লেজেন্ড হো।
উল্লেখ্য, ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ের ওই মুহুর্ত ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে চিরস্মরণীয় করে রাখতে নিজের ভূমিকা পালন করেছিলেন শাস্ত্রী। ধারাভাষ্য শাস্ত্রী বলেছিলেন, নিজস্ব ভঙ্গিতে ফিনিস করলেন ধোনি। দর্শকদের মাঝে বল ফেলে দিলেন। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জিতল ভারত।
শ্রীলঙ্কার নুয়ান কুলশেখরের বলে ধোনির এই ছয়কে এভাবেই বর্ণনা করেছিলেন শাস্ত্রী।
উল্লেখ্য, ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে শুধু ধোনির এই ছয় নিয়েই এত মাতামাতি নিয়ে বৃহস্পতিবার নিজের ক্ষোভ গোপন রাখেননি ২০১১-র বিশ্বকাপজয়ী দলের ওপেনার গৌতম গম্ভীর। তিনি মন্তব্য করেন, ২০১১-র বিশ্বকাপ সমগ্র দল ও সাপোর্ট স্টাফদের জয়, স্রেফ একটা ছক্কা নিয়ে মাতামাতি দূর করার এবার সময় হয়েছে।
২০১১-র ২ এপ্রিল মুম্বইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২৮ বছরের বিশ্বকাপ খরা কাটিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।ওই ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে ৯৭ রান করেছিলেন গম্ভীর।