হারারে: সকাল থেকে হঠাৎ চাউর হল যে তিনি মারা গিয়েছেন। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তা বদলে গেল। প্রয়াত জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট দলের (Zimbavbwe Cricket Team) প্রাক্তন অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক (Heath Streak)। ক্যান্সার (Cancer) শরীরে থাবা বসিয়েছে দীর্ঘদিন আগেই। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন সকালে হঠাৎ জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন পেসার হেনরি ওলোঙ্গা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ট্রিকের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন আর আই পি। পরে যদিও সেই পোস্টটি ডিলিট করে ওলঙ্গা নিজেই জানান যে হিথ স্ট্রিক বেঁচেই আছেন। নিজের সময়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন। জিম্বাবোয়ের সর্বকালের সেরা প্লেয়ারদের মধ্যে একজন হিসেবে গন্য করা হয় হিথ স্ট্রিককে। ২০০০-২০০৪ সময়কাল পর্যন্ত দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছিলেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার।


১২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন। জিম্বাবোয়ের হয়ে ৬৫টি টেস্ট ও ১৮৯টি ওয়ান ডে ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এমন অনেক ম্যাচ রয়েছে যেখানে নিজে একা হাতে ব্য়াটিং বা বোলিংয়ে বাজিমাত করে দেশকে জিতিয়েছিলেন। তিনিই জিম্বাবোয়ের একমাত্র ক্রিকেটার এখনও পর্যন্ত, যিনি টেস্টে ১০০ উইকেটের মালিক হয়েছেন। বুলাওয়াতে জন্ম এই প্রাক্তন ক্রিকেটার টেস্টে মোট ২১২ উইকেটের মালিক ছিলেন। ১৬ বার চার উইকেট নিয়েছিলেন এক ইনিংসে। এছাড়াও ৭ বার পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্বও রয়েছে। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে মোট ২৩৯ উইকেট নিয়েছেন স্ট্রিক। 


ব্যাটের হাতও বেশ ভাল ছিল এই প্রাক্তন তারকার। লাল বলের ফর্ম্যাটে ১৯৯০ রান করেছিলেন। ওয়ান ডে-তে ২৯৪৩ রান ঝুলিতে রয়েছে। একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১২৭ রান হারারেতে। হিথ স্ট্রিকই একমাত্র জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটার যাঁর ঝুলিতে টেস্টে ২০০০ এর কাছাকাছি রানসহ ১০০ উইকেট রয়েছে। আর ওয়ান ডে-তে ২০০০-রক বেশি রানের পাশাপাশি ২০০-র বেশি উইকেট রয়েছে।


১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে অভিষেক হয়েছিল হিথ স্ট্রিকের। তার এক মাস পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক করেন। দ্বিতীয় টেস্টেই রাওয়ালপিণ্ডিতে ৮ উইকেট নিয়ে নজরে আসেন। ২০০৫ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন এই প্রাক্তন অলরাউন্ডার।


অবসরের পর যদিও জিম্বাবোয়ে জাতীয় দল, স্কটল্য়ান্ড ও বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোচ ছিলেন স্ট্রিক। এছাড়াও আইপিএলে গুজরাত লায়ন্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের দায়িত্বও সামলেছেন। ম্যাচ গড়াপেটার কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে আইসিসি ৮বছরের জন্য নির্বাসন দিয়েছিল স্ট্রিককে। যদিও পরে তিনি ক্ষমা চান। স্ট্রিক জানিয়েছিলেন, এমন দুর্নীতিতে কখনওই যুক্ত ছিলেন না তিনি।