হারারে : গর্ত হয়ে গিয়েছে জুতো। আঠা, সারাইয়ের সরঞ্জাম লাগিয়ে সেই জুতোকেই ঠিক করার মরিয়া চেষ্টা। কিন্তু বিফল হবেন বুঝেই সেই জুতোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে স্পনসরের খোঁজে করুণ আর্তি। জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটার রায়ান বার্লের পোস্ট করা যে ছবি মুহূর্তে হয়ে ওঠে ভাইরাল।


আধুনিক ক্রিকেটে যখন স্পনসর ও ব্রডকাস্ট রাইটস থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড, তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আঙিনায় খেলা এক ক্রিকেটারের এরকম করুণ আর্তি দেখে চমকে উঠেছেন অনেকেই। জিম্বাবোয়ের ২৭ বছরের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রায়ান। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ও ২৫টি টি২০ খেলে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু তা সত্বেও স্পনসর তথা অর্থাভাবে একই জুতো সারাইয়ের মরিয়া চেষ্টা। যা বিফল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আর্তি।


ঠিক আঙুলের ডগার কাছে হয়ে যাওয়া বড় গর্ত সারাইয়ের চেষ্টা করা রায়াল বার্লে তাঁর সেই প্রয়াসের ছবি ট্যুইটারে পোস্ট করে লেখেন, 'কোনোভাবে কী কোনও স্পনসর পাওয়া যাবে, যাতে প্রত্যেকটা সিরিজের পর জুতো সারাতে এভাবে আঠা নিয়ে না বসতে হয়!' সঙ্গে তিনি কান্নার ইমোজিও জুড়ে পিন ট্যুইট করে দেন তিনি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স ইউনিয়ন ও তাঁর জুতোর স্পনসরদেরও ট্যাগ করেন রায়ান। আর যে আর্তি কার্যত ঝড় তোলে সোশ্যাল মিডিয়ায়।


কিছুক্ষণ আগেই এক বিখ্যাত জুতো প্রস্তুকারী সংস্থা এগিয়ে আসে রায়ানের সাহায্যার্থে। তাঁর সেই ট্যুইটটি রিট্যুইট করে তারা লেখে, আর আঠা দিয়ে তোমাকে জুতো সারাতে হবে না। আমরা বিষয়টা দেখে নিচ্ছি। যার কিছুক্ষণ পরই সেই সংস্থাকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন রায়ান। সবার সাহায্য়েই ফলেই দ্রুত সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।


জিম্বাবোয়ে সরকারের তাদের দেশের ক্রিকেট পরিচালন বোর্ড হস্তক্ষেপের অভিযোগে তাদের ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। যদিও পরে তাদের ফের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরালেও আইসিসি-র জন্যই জিম্বাবোয়ের মতো ক্রিকেট বোর্ড আর্থিক বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলেই রায়ানের পোস্টে অভিযোগ করেছেন েকাধিক ক্রিকেটভক্ত।