গত ১৯ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্ঘ পরিবার অনুগামী ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে নিগৃহীত হন বাবুল। এ ঘটনায় নাম জড়ায় বর্ধমানের বাসিন্দা তথা সংস্কৃত কলেজের ছাত্র দেবাঞ্জন বল্লভ চট্টোপাধ্যায়ের। এর কয়েকদিন পর দেবাঞ্জন বর্ধমানে তাঁর বাড়ি ফিরতেই গত ২ অক্টোবর তাঁকে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ১০ বিজেপি কর্মীকে। সম্প্রতি ওই বিজেপি কর্মীরা জেল থেকে ছাড়া পান। তারপরই ঘটা করে সম্বর্ধনা।
বর্ধমানের বিজেপি নেতা শ্যামল রায় দাবি করেছেন, শুধুমাত্র বিজেপি করায় প্রশাসন এদেরকে ধরে দুর্গাপুজোর সময় এরা জেলে ছিল। তিনি আরও বলেছেন, বিনা দোষে যারা জেল খাটেন, তাদের মানসিকভাবে শক্তি জোগাতে সংবর্ধনা দেন দিলীপদা।
ছাত্র নিগ্রহে অভিযুক্তদের এভাবে সংবর্ধনা দেওয়ায় বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কটাক্ষ করেন, দিলীপ ঘোষরা যা আচরণ করছে, তাতে বিজেপি পার্টিটা রসাতলে চলে যাবে, দিলীপ যতদিন তাঁর পদে থাকবেন তাতে আমাদের মঙ্গল।
সংবর্ধনা বিতর্কে বিজেপিকে একযোগে বিঁধেছে বাম-কংগ্রেস। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ি বলেন, এটাই হচ্ছে বিজেপি, এরা যারা খুন করে তাদের গলায় মালা দেয়। এই অসভ্যতা, বর্বরতাকে এরা জায়গা দেয়, ‘রাজ্যে এই দলটাকে জায়গা করে দেওয়া’র জন্য মমতার দিকে আঙুল তোলেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও বিজেপিকে নিশানা করেন।
যদিও বাবুলকে নিগ্রহে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনকে মারধরে অভিযুক্তদের সংবর্ধনা দেওয়ার মধ্যে বিজেপি অন্যায় কিছু দেখছে না বলে খবর।