কলকাতা: নির্বাচন কমিনের ফুল বেঞ্চ ঘুরে যেতে না যেতেই অশান্তি বিভিন্ন জেলায়। সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হলদিয়া, মালবাজার। কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হাওড়া। আক্রান্ত এপিবি আনন্দর সাংবাদিক। ভাঙড়ে ফের আক্রান্ত সিপিএম। অভিযুক্ত তৃণমূল। সব অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও কীভাবে ঘটছে এমন ঘটনা? প্রশ্ন উঠছে।

শুক্রবার সকালে মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান হলদিয়া কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী তাপসী মণ্ডল। একই সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান মহিষাদল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুদর্শন ঘোষদস্তিদারও।

অভিযোগ, সিপিএম কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানায় তৃণমূল। পুলিশ সিপিএম কর্মীদের সরিয়ে দিতে গেলে, দু’দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।

অভিযোগ, আক্রান্ত হন হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় ও সুতাহাটা থানার ওসি শীর্ষেন্দু দাস। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

হাওড়া উত্তর কেন্দ্রে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি তুলতে গিয়ে তৃণমূলকর্মীদের হাতে আক্রান্ত এপিবি আনন্দর চিত্র সাংবাদিক রঞ্জিত পাণ্ডে। বেধড়ক মারধর করে কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা। দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে দু’দলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘুসুড়ির রামচরণ নস্কর লেন। নামানো হয় র‍্যাফ, কেন্দ্রীয় বাহিনী। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃলে থানা ঘেরাও করে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে যান হাওড়া উত্তর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। সেসময় ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হন এবিপি আনন্দর চিত্র সাংবাদিক। দুই কংগ্রেসকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে ফের আক্রান্ত সিপিএম। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে যাওয়ায় সফিকুল মোল্লা নামে ওই সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে আনা হয়েছে কলকাতায়। পুলিশ এক তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।

বৃহস্পতিবার রাতে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জলপাইগুড়ির মালবাজারও। জখম হন চার সিপিএম ও তিন তৃণমূল সমর্থক। থানায় দু'পক্ষের অভিযোগ দায়ের।

বৃহস্পতিবার রাতে হুগলির খানাকুলে সিপিএম সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ। গোঘাটে সিপিএম সমর্থকের গোয়ালঘরে আগুন। দু’টি ঘটনাতেই অভিযুক্ত তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের।

রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও কীভাবে ঘটছে এমন ঘটনা? কী করছে নির্বাচন কমিশন? প্রশ্ন উঠছে।