‘সন্তান হবে না’, ‘জমির চরিত্র বদলে যাবে’, নানান প্রচারে অশান্ত ভাঙড়
বোমার আওয়াজ...লাঠিচার্জ...কাঁদানে গ্যাস
প্রচারের পাল্টা আশ্বাস...এরইমধ্যে রণক্ষেত্র ভাঙর।
প্রচার: ৪-গ্রামবাসীদের এও দাবি, বিদ্যুৎ প্রকল্পের খুঁটির নিচ দিয়ে গেলে, তাঁদের শক লাগছে!বিদ্যুৎমন্ত্রীর পাল্টা দাবি, এই প্রচারও ঠিক নয়।
প্রচার : ৩- প্রচার করা হয়েছে, বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য তাঁদের জমির চরিত্রও বদলে যেতে পারে! তিন ফসলি জমি, একফসলি হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন আশঙ্কাও সঠিক নয়।
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? তাঁরা এক্ষেত্রেও কোনও আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছেন।
প্রচার: ২- নষ্ট হবে মাছের চাষ।এমনটাও প্রচার করা হয়েছে, পাওয়ার গ্রিড চালু হলে, বিষিয়ে যাবে ভেড়ির জল! নষ্ট হবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।
প্রসব-প্রচার নিয়ে মুখ খুলেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন,প্রচার করা হচ্ছে সন্তান হবে না। সারা বাংলায় হাই টেনশন লাইন রয়েছে। সেখানে কি সন্তান হচ্ছে না?
কিন্তু সত্যিই কি এরকম কোনও সম্ভাবনা রয়েছে?বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এ ধরনের সম্ভাবনাই নেই বলেই জানিয়েছেন।
প্রচার: ১- স্থানীয়দের প্রচার বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে নাকি এলাকার মহিলাদের আর সন্তান হবে না!কারণ, বিদ্যুৎচৌম্বকীয় বিকিরণের প্রভাব পড়বে শিশুদের জন্মগ্রহণের ওপর।
পাওয়ার গ্রিডের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারপর কাজ স্থগিত করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও অশান্ত ভাঙড়...গ্রামবাসীদের দাবি, প্রকল্প বাতিল করে জমি ফেরত দিতে হবে। কিন্তু কেন?
ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন প্রচার হয়েছে এলাকায়। কী কী সেই প্রচার? সেগুলির কি আদৌ কোনও ভিত্তি রয়েছে?