দেড় মাস পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাঘঘরার জঙ্গলে মিলল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মৃতদেহ
যার আতঙ্কে এতদিন ঘুম উড়ে গিয়েছিল, সেই তার সঙ্গেই সেলফি! মরা বাঘ দেখতে এভাবেই ভিড় উপচে পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাঘঘরার জঙ্গলে। পরে মরা বাঘ নিয়ে যাওয়া হয় হরিধ্বনি দিতে দিতে।
জঙ্গলে ঢুকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আসেন দুই গ্রামবাসী। তাঁদের দাবি, অতর্কিতে হামলা চালায় বাঘ। থাবার ঘায়ে আহত হন তাঁরা। তাঁদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এই ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হল বাঘের মৃতদেহ।
এরইমধ্যে ৩০ মার্চ বাঘটি একটি কালভার্টের নিচে আটকে পড়ে বলে দাবি। সেদিনও বাঘটি শিকারিদের জাল ছিঁড়ে পালায়। আতঙ্কের মধ্যেই আজ সকালে কাননডিহি মহুয়া জঙ্গলে মেলে আধখাওয়া বুনো শুয়োর। আশেপাশে বাঘের পায়ের ছাপ। ছিল ধস্তাধস্তির চিহ্নও।
মধুপুরের জঙ্গলে দেড়মাস আগে প্রথম দেখা পাওয়া যায় বাঘটির। কখনও তাকে দেখা যাচিছল বাঁকুড়ায়, কখনও ঝাড়গ্রামে। এরপর বন দফতরের লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়ে বাঘের ছবি। বাঘ ধরতে ফাঁদ পাতে বন দফতর। কিন্তু তাতেও ধরা দেয়নি রয়্যাল বেঙ্গল।
বন দফতর সূত্রে খবর, যে জায়গায় বাঘটি জাল ছিড়ে পালিয়েছিল, তার অনতিদূরে মেলে বাঘের মৃতদেহ। সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে আদিবাসীদের শিকার উৎসব ছিল। বাঘটি আদিবাসীদের শিকার বলেই প্রাথমিক সন্দেহ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাঘঘরার জঙ্গলেই পাওয়া গেল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে। তবে জীবিত নয়, মৃত অবস্থায়। গায়ে আঘাতের চিহ্ন। বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে মারা হয় বলে অনুমান।