কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরেই ফের সংঘাতের সুর। উপাচার্য-অধ্যাপকদের দেওয়া বার্তার পরেই সংঘাত। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ট্যুইট রাজ্যপালের। ‘বক্তব্যের নিহিত অর্থ বোঝার চেষ্টা করছি। রাজ্যপাল হিসেবে আমার সব পদক্ষেপ সংবিধান মেনে। আচার্য হিসেবে পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মেনে’, ট্যুইটে উল্লেখ রাজ্যপাল ধনকড়ের।
নেতাজি ইন্ডোরে শিক্ষকদের সভায় উপস্থিত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা বলার পরেই রাজভবন-নবান্ন সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
প্রসঙ্গত, গতকাল শিক্ষকদের সভায় ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন। তারপরেও নবান্নে তাঁদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের বৈঠকে ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে উপাচার্যদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্য রাখবেন, যাতে বাইরের কোনও হস্তক্ষেপ না হয়।  হস্তক্ষেপ হলে আপনাদের বিচার বিবেচনা অনুযায়ী কাজ করবেন। অনেকে অনেক কথা বলবে। কোনও সমস্যা হলে আমার কাছে আসবেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, এই আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য সরকারকে কীভাবে বেতনক্রম বাড়াতে হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী।  কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া, ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, নাম না করে কি রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের উদ্দেশেই এই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
ইতিমধ্যে একাধিক ইস্যুতে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত হয়েছে। সংস্কৃত কলেজের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সূত্রে দাবি, যাদবপুরকাণ্ডে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন রাজ্যপাল।
এই ইস্যুতে উপাচার্যের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্যদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক।