Twitter Blue Tick: ইলন মাস্ক (Elon Musk) ট্যুইটারের মালিকানা নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক পরিবর্তন চলছে এই মাইক্রোব্লগিং মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই ট্যুইটারে ব্লু সাবস্ক্রিপশন (Blue Subscription) চালু হয়েছে। অর্থাৎ এখন টাকার বিনিময়ে ইউজাররা ব্লু টিক কেনার সুযোগ পাবেন। তার ফলে সব ইউজারদের কাছেই ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট পাওয়ার সুবিধা থাকছে। তবে এবার আরও বেশি খরচের ব্লু সাবস্ক্রিপশন চালু হতে চলেছে ট্যুইটারে। সম্প্রতি এমনই আভাস পাওয়া গিয়েছে। ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, ট্যুইটারে যেসব ইউজার এই বেশি মূল্যের ব্লু সাবস্ক্রিপশন নেবেন তাঁরা zero ads- এর সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ ট্যুইটারের মধ্যে কোনও বিজ্ঞাপন দেখতে হবে না ওই ইউজারদের। তবে ট্যুইটারের এই নতুন প্ল্যান কবে চালু হবে, ইউজাররা zero ads ছাড়া আর কী কী সুবিধা পাবেন, কোনও কিছুই এখনও সঠিক ভাবে জানা যায়নি। শুধুমাত্র ইলন মাস্ক নিজের ট্যুইটে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে আগামী দিনে আরও বেশি খরচের ব্লু সাবস্ক্রিপশন আসতে চলেছে ট্যুইটার। এর আগে গতবছর ডিসেম্বর মাসে মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন যে ট্যুইটারের ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন চালু হলে ইউজাররা ফিডের মধ্যে আগের তুলনায় অর্ধেক বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। আর এই ফিচারে কোনও বিজ্ঞাপন দেখা না যাওয়ার আভাসও দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। no advertisements ভিত্তিতেও চালু হবে ট্যুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশন। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালেই চালু হবে এই ফোন।
Twitter Layoffs: ফের কর্মী ছাঁটাই হতে পারে ট্যুইটারে (Twitter)। সম্প্রতি এমনই আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও কিছু কর্মীকে ট্যুইটার থেকে ছাঁটাই (Layoffs) করা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, প্রোডাক্ট ডিভিশন থেকে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে এবার। অন্যান্য বেশ কিছু বিভাগের উপরেও কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়বে বলে অনুমান। গতবছর অক্টোবর মাসে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন ইলন মাস্ক। তারপর একধাক্কায় কোম্পানিত ওয়ার্ক ফোর্স কমিয়ে অর্ধেক করেছেন তিনি। ছাঁটাই হয়েছেন প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী। এমনকি ক্রিসমাসের আগেও কর্মী ছাঁটাই হয়েছে ট্যুইটারে। শোনা যাচ্ছে, এবার নতুন করে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাক্কাতেই ট্যুইটারে ৭৫০০ কর্মী থেকে কমে হয়েছে ৩৫০০। মনে করা হচ্ছে, নতুন করে কর্মী ছাঁটাই ট্যুইটারে কর্মরতদের সংখ্যা ২০০০-এর নীচে নেমে আসবে। নতুন করে ট্যুইটারে কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, একথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উদ্বেগ শুরু হয়েছে ট্যুইটারের বর্তমান কর্মীদের মধ্যে। গতবছর প্রথমে কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ট্যুইটারেই। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ট্যুইটারের নতুন মালিক হয়েছিলেন ইলন মাস্ক। সিইও হওয়ার পরেই প্রথম ধাপে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করেছিলেন তিনি। সরিয়ে দেওয়া হয় ট্যুইটারের প্রাক্তন মালিক পরাগ আগরওয়াল- সহ আরও অনেক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে। পরিবর্তন করা হয় ট্যুইটারের একাধিক নিয়ম কানুনও।
আরও পড়ুন- কেমন চার্জিং ফিচার থাকবে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৩৪ ৫জি ফোনে?