কলকাতা: তাঁর হাতেই আবিষ্কার হয়েছিল সেলফোন। তাঁকেই সেলফোনের জনক বলা হয়। সেই তিনিই তাঁর গোটা দিনে সবচেয়ে খুব সামান্য সময় ব্যয় করেন সেলফোনের পিছনে। এখন সারা বিশ্বে নাগরিকরা যেভাবে সেলফোনের সঙ্গে সময় কাটান। তা নিয়ে নিজেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সেলফোনের সৃষ্টিকর্তা।
মাত্র পাঁচ মিনিট
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মার্টিন কুপার (Martin Cooper) জানান, গোটা দিনে তিনি পাঁচ শতাংশের কম সময় খরচ করেন তাঁর সেলফোনের পিছনে। সাক্ষাৎকারটিতে সাংবাদিক তাঁকে জানিয়েছিলেন সব মিলিয়ে দিনের অন্তত পাঁচ ঘণ্টা সময় তিনি সেলফোনের সঙ্গে কাটান। তা শুনেই রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন সেলফোনের (Mobile Phone) আবিষ্কর্তা (Inventor)। কিন্তু সারা বিশ্বে সাধারণত সেলফোন ব্যবহারকারীদের তো এমনই অভ্যাস। অনেকসময় এর থেকেও বেশি সময় কাটাতে হয় সেলফোনের সঙ্গে। তাহলে তাঁদের প্রতি কী বার্তা দেবেন তিনি? তখন মার্টিন কুপার বলেন, 'আমি তাঁদের বলতে চাই জীবনটা উপভোগ করুন।' পেশায় একজন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার (Electrical engineer) ছিলেন মার্টিন কুপার। টেলিকমিউনিকেশনের (telecommunications) জগতে তাঁর কাজের জন্য অত্যন্ত শ্রদ্ধা করা হয় তাঁকে। তখন পঞ্চাশের দশক। সেলফোন বিষয়টিই তখন সারা বিশ্বের অজানা। কিন্তু যোগাযোগ মাধ্যমে উন্নতি করার জন্য তাঁর আবিষ্কারই এক ধাক্কায় অনেকটা এগিয়ে দেয় বিশ্বকে। সেলফোন সংস্থা মোটোরোলার সঙ্গেই তাঁরা কাজের একটি বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে। ১৯৫৪ সাল থেকে ওই সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেন তিনি। সেখানেই টেলিকমিউনিকেশ বিভাগে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই কাজ শুরু করেন।
প্রথম পদক্ষেপ:
সেলফোনের আগে বিশ্ব দেখেছিল রেডিও পেজার। সেটাও এসেছিল মার্টিন কুপারের হাত ধরেই। এছাড়া, আজকাল নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ভরসা করা হয় পুলিশ রেডিও সিস্টেমে। সেটিও এসেছিল এই বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদের হাত ধরেই।
এরপর মোবাইল:
সত্তরের দশকের প্রথম দিক। আমেরিকার মাটিতে তখন নারীবাদী আন্দোলনের দ্বিতীয় তরঙ্গ। সেই সময়েই সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন মার্টিন কুপার। ১৯৭৩ সালে নিউইয়র্কের মাটিতে তিনি প্রথম ফোন কল করেন তাঁর তৈরি মোটোরোলার সেলফোন সেট থেকেই।