Goa: গোয়ার বিচে (Goa Beach) দুর্ঘটনা ঘটলে আপনার প্রাণ বাঁচাতে হাজির থাকবে সেলফ ড্রাইভিং রোবট (Self Driving Robot)। সেই সঙ্গে বন্দোবস্ত থাকবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI Monitoring System) সমৃদ্ধ মনিটরিং সিস্টেমের। গোয়া সরকারের নিযুক্ত করা লাইফগার্ড সংস্থা দৃষ্টি মেরিন প্রথমবার এমন ব্যবস্থাপনা হাজির করতে চলেছে। এআই অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সমৃদ্ধ সেলফ ড্রাইভিং রোবটের নাম Aurus। এছাড়াও থাকতে চলেছে Triton- যা আদতে এআই ভিত্তিক মনিটরিং সিস্টেম। গোয়ার বিভিন্ন জনপ্রিয় সি-বিচ এবং জল সংলগ্ন এলাকায় হাজির থাকবে এই দুই আধুনিক প্রযুক্তির দূত। গোয়ায় বছরভর বেড়াতে আসেন দেশি, বিদেশি অনেক পর্যটক। পরিসংখ্যান অনুসারে, গত দু'বছরে এক হাজারেরও বেশি উদ্ধার কাজের সাক্ষী থেকেছে গোয়ার বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকা। দৃষ্টি মেরিন সংস্থার উদ্ধারকারীরাই এইসব উদ্ধারকার্য করেছেন। সংস্থার তরফে অফিশিয়াল বিবৃতি দিয়ে তেমনটাই জানানো হয়েছে। আর সেই কারণেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক বিভিন্ন লাইভ সেভিং ব্যবস্থাপনার কথা ভেবেছে গোয়ার এই সংস্থা।


কী কী কাজ করবে এই রোবট এবং মনিটরিং সিস্টেম


প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক এই সেলফ ড্রাইভিং রোবট এবং মনিটরিং সিস্টেমে রয়েছে ক্যামেরা যা গোয়ার বিচের চারপাশে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এই দুই আধুনিক ও উন্নত যন্ত্রাংশের সাহায্যে কোনও ঝুঁকি থাকলে তা বোঝা সম্ভব হবে। এর সঙ্গে দায়িত্বে থাকা লাইফ গার্ডদের কাছে রিয়েল টাইম তথ্য পাঠানো সম্ভব। তার ফলে দ্রুত প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন এই লাইফ গার্ডরা। এর ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। এছাড়াও গোয়ার বিভিন্ন বিচে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে এই ব্যবস্থাপনা। তাছাড়াও বিচ এবং সংলগ্ন এলাকায় নিপুণ ভাবে নজরদারি চালানো সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি যেসমস্ত অংশে পর্যটকদের সমুদ্রে নামা নিষেধ অর্থাৎ নন-সুইমিং জোন, সেখানেও নজরদারি চালানো যাবে। এর ফলে জোয়ারের সময় পর্যটকদের সতর্ক করে দেওয়া সম্ভব হবে। যদি কেউ ভুলবশত বিপজ্জনক জায়গায় চলে যান তাহলে তাঁকে উদ্ধারের জন্য লাইফ গার্ডরা সঠিক সময়ে উপস্থিত হবেন। 


আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স থাকার কারণে এই রোবট এবং মনিটরিং সিস্টেমের সাহায্যে লাইফ গার্ডদের একাধিক দায়িত্বের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে। যেমন আপদকালীন পরিস্থিতিতে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, কীভাবে নজরদারি চালাতে হবে, প্রয়োজনে নোটিফিকেশন পাঠাতে হবে- সেইসব বন্দোবস্ত করবে এই আধুনিক যন্ত্রপাতি। Aurus ইতিমধ্যেই ১১০ ঘন্টা কাজ করার রেকর্ড গড়েছে। গোয়ার উপকূল বরাবর একাই ১১০ ঘণ্টা কাজ চালিয়েছে এই এআই রোবট। অন্যদিকে Triton সম্পন্ন করেছে ১৯ হাজার ঘণ্টার রানটাইম। Aurus এবং Triton পরিচালনা করবেন টেক লাইফ সেভার্সরা যাঁরা থাকবেন সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমে। এই টিমই ঠিক করবে যে Aurus এবং Triton কোন এলাকায় নজরদারি চালাবে। যেসব লাইফ সেভার্স গার্ডরা বিচে উপস্থিত থাকবেন তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আপাতত Aurus রয়েছে উত্তর গোয়ার মিরামার বিচে। অন্যদিকে Triton রয়েছে দক্ষিণ গোয়ার বাইনা, ভেলসাও, বেনাওলিম, গালগিবাগ এবং উত্তর গোয়ার মোরজিমে। 


আরও পড়ুন- প্রায় ৬০০ 'ফ্রেশার'-কে ছাঁটাই করল ইনফোসিস কর্তৃপক্ষ, কিন্তু কেন?