পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: বিজেপি ছাড়লেন অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র (kanchana moitra quits BJP)। সোশাল মিডিয়ায় (social media) দল ও রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে অভিনেত্রী বলেন, 'কাজ ও পরিবারকে সময় দিতে চাই। তাই দল ও রাজনীতিকে (politics) আপাতত বিদায় জানালাম।' এও বললেন, 'দলে কোনও পদে ছিলাম না।'
কেন দলত্যাগ?
অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পর তাঁর সঙ্গে এবিপি আনন্দের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, 'আমি যেটা লিখেছি, সেটাই সত্যি। কাজে অনেকটা মনোযোগ দিতে চাই। যখন বিজেপিতে ছিলাম, তখন অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে দল করেছি। কার্যত মাঠে নেমে কাজ করেছি। কাজের পেশাদার জায়গাটা তখন দেখিনি। এই মুহূর্তে কাজ ও পরিবারকে সময় দিতে গিয়েই দল থেকে বেরিয়ে আসার এই সিদ্ধান্ত।' কিন্তু দলের সঙ্গে কি সত্যিই কোনও সমস্যা ছিল না? এক্ষেত্রে অভিনেত্রীর কৌশলী উত্তর, 'দলের সঙ্গে সমস্যা তখনই হয় যখন দল বড় কোনও কাজের দায়িত্ব দেয়। এই মুহূর্তে তো আমি সেরকম কিছু করছি না। সুতরাং কাজ বা দায়িত্ব নেই, সেখানে সুবিধা বা সমস্যা বা সমাধান কোনওটিই নেই।' অভিনেত্রীর এই দলত্যাগের এই সিদ্ধান্তের পর নতুন করে জল্পনা দানা বেঁধেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বিশেষত যে সময়ে বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা করলেন তিনি, তার পর নানা ধরনের তত্ত্ব দেখা দিচ্ছে। গত কালই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। পর দিনই কাঞ্চনার এমন সিদ্ধান্ত ভাবাচ্ছে অনেককে।
ভাঙনের রেশ...
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙনের আঁচ টের পাওয়া গিয়েছে রবিবার থেকেই। গত কাল ক্যামাক স্ট্রিটে (Camac Street) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সুমন কাঞ্জিলাল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তিনি। তাঁর মতে, 'গঠনমূলক বিরোধিতা ছিল না। শুধুই টাকা আটকে দেওয়ার রাজনীতি ছিল প্রাক্তন দলে।' সঙ্গে আরও সংযোজন, 'এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি, সাহায্য মেলেনি কেন্দ্রীয় সরকারেরও। তৃণমূলে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কিছু ছিল না।' আগে অবশ্য তাঁর ব্যাখ্যা ছিল, সাংসদ জন বার্লার (John Barla) সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরেই বিজেপি ত্যাগের এই সিদ্ধান্ত।পূর্ণ সহযোগিতা করেছি, পাল্টা দাবি করেন বিজেপি সাংসদ। এই টানাপড়েনের মধ্যেই নতুন ধাক্কা বিজেপিতে।
আরও পড়ুন:ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরী তুরস্ক-সিরিয়া, ক্রমশ বাড়ছে শবদেহের সংখ্যা