Online Betting Gambling Website: একদিকে ভারতে যেমন অনলাইন গেমিং মার্কেট দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইন গ্যাম্বলিং বেটিং-এর (Online Betting Website) প্রবণতাও। বছরের পর বছর ধরে  এই বেটিং সাইটের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। সম্প্রতি সংসদে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে এই বেটিং অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে। অনলাইন গেমিং (Online Gambling) যাতে দেশের শিশু-কিশোরদের আসক্ত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।


লোকসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক এস জ্যোতিমণির প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই ১২৯৮টি অনলাইন গ্যাম্বলিং ও বেটিং ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই অ্যাপ ও ওয়েবসাইটগুলি গ্যাম্বলিং বেটিংয়ে প্ররোচনা দিচ্ছিল দেশে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের অধীনে এই পরিষেবাগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


তথ্য প্রযুক্তি আইনে বিশেষ ধারা আনা হয় ২০২১ সালে


শুধু তাই নয়, লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই অনলাইন গেমিং নিয়ে আসক্তির কথা বলেন এবং এর ক্ষতিকর দিকের কথা যে সরকারের জানা তাও উল্লেখ করেন। এই অবস্থায় এই আসক্তি বন্ধ করতে ২০২১ সালে দেশের তথ্য প্রযুক্তি আইনে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। আর সেখানে গেমিং সংস্থাগুলির দায়িত্বের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।


তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে ২০২৪ সালে বিভিন্ন সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রক এজেন্সির মাধ্যমে সন্দেহজনক হিসেবে ১ হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করা হয়েছে, অনলাইন গ্যাম্বলিং এবং বেটিং সংক্রান্ত কাজের জন্য বন্ধ করা হয়েছে অনেক ওয়েবসাইটের পরিষেবাও। ১০৯৭ ওয়েবসাইট বন্ধ হয়েছে ২০২৪ সালে।


৩১ হাজার কোটির ব্যবসা দেশে


গেম ডেভেলপারস কনফারেন্সে জারি হওয়া রিপোর্ট অনুসারে ভারতের বুকে অনলাইন গেমিংয়ের বাজার মূল্য ৩১ হাজার কোটি টাকা। ২০২৯ সালের মধ্যে এই অঙ্ক বেড়ে হয়ে যাবে ৭৮ হাজার কোটি টাকা। আগের বছর একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছিল ভারতে শহরাঞ্চলে থাকা ৬৬ শতাংশ শিশু কিশোরই অনলাইন গেমিংয়ের আসক্তির শিকার।


২০২৩ সালে ভারতে মহাদেব গেমিং অ্যাপের দুর্নীতি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। এর মাধ্যমে ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, পোকার, তাসের তিনপাত্তি ইত্যাদি নানা রকম খেলায় জুয়া ও লটারির ব্যবস্থা ছিল। জানা গিয়েছে, ৪-৫টি সমাজমাধ্যমের দ্বারা কাজ করে এই অ্যাপ, বেটিংও হয় এই সব প্ল্যাটফর্মের মধ্য দিয়েই। দিনে নাকি ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে এই অ্যাপে, এমনও জানা গিয়েছে। এরপর থেকেই অনলাইন বেটিং নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র।