ওয়াশিংটন: দীর্ঘ ২৫ বছর কর্মজীবনের পর থামতে চলেছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। সিকি-শতকের পর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল মাইক্রোসফ্ট। আগামী বছর শেষ হতে চলেছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর যাত্রাপথ। 


দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলেছিলই। বিশ্বে মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ যতটা বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, ঠিক উল্টোটা ঘটেছে সংস্থার ব্রাউজারের ক্ষেত্রে।  নেট ব্যবহারকারীদের কাছে কার্যত ব্রাত্য হয়ে পড়েছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। 


যে কারণে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর কফিনে শেষ পেরেকটা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিতেই হল মাইক্রোসফ্টকে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৫ জুন-- পাকাপাকিভাবে বন্ধ হচ্ছে এই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। 


সংস্থা জানিয়েছে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর জায়গায় স্থলাভিষিক্তি হবে মাইক্রোসফ্ট এজ। সংস্থার প্রোগ্রাম ম্যানেজার শন লিন্ডারসে জানান, উইন্ডোজ ১০-এ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর ভবিষ্যৎ হতে চলেছে মাইক্রোসফ্ট এজ। তিনি বলেন, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ অ্যাপলিকেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। ২০২২ সালের ১৫ জুনের পর থেকে এই অ্যাপলিকেশনের জন্য আর কোনও সাপোর্ট দেওয়া হবে না। 


ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর বিকল্প যে মাইক্রোসফ্ট এজ হতে চলেছে, তা সংস্থার কথাতেই স্পষ্ট। বলা হচ্ছে, আইই মোড সমেত মাইক্রোসফ্ট এজ হতে চলেছে বেশিরভাগ ব্যবসার ভবিষ্যৎ। ২ বছর আগে মাইক্রোসফ্ট এজ-এর জন্য আইই মোড প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, আপাতত ২০২৯ সাল পর্যন্ত মাইক্রোসফ্ট এজে আইই মোড কার্যকর থাকবে। 


ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর যববিতাপাতের সম্ভাবনা দীর্ঘদিন ধরেই উঁকি দিচ্ছিল। মাইক্রোসফ্ট টিম ওয়েব অ্যাপের জন্য ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-১১ র সাপোর্ট প্রত্যাহার করেছিল সংস্থা। চলতি বছর মাইক্রোসফ্ট ৩৬৫ পরিষেবা থেকেও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে ছাঁটাই করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। 


পাশাপাশি, আগামী ১৭ অগাস্ট থেকে অফিস ৩৬৫, ওয়ান ড্রাইভ, আউটলুক সহ একাধিক অ্যাপলিকেশন থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর ব্যবহার ও পরিষেবা প্রত্যাহার করা হবে। 


বলা যেতে পারে, পাঁচ বছর ধরে মাইক্রোসফ্ট সংস্থা চাইছিল, যাতে মানুষ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর ব্যবহার বন্ধ করুক। কারণ, তাদের উদ্দেশ্য ছিল মাইক্রসফ্ট এজ-কে তুলে ধরা। ২০১৫ সালে আত্মপ্রকাশ ঘটে মাইক্রসফ্ট এজ-এর। সেখান থেকেই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর শেষের শুরু। 


সংস্থার দাবি, মাইক্রসফ্ট এজ কোনও সাধারণ ব্রাউজার নয়। এটি একটি সম্পূর্ণ "কমপ্যাটাবিলিটি সলিউশন" বা সামঞ্জস্যতা সমাধান। যা আইই মোড-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।