স্যান ফ্রান্সিসকো : ১২ সিরিজে ফিরে এসেছিল আইফোন ৫ সিরিজের স্মৃতি। পুরু লে-আউটের সঙ্গে নজরকাড়া ডিজাইন। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই নতুন সিরিজের দিকে ঝুঁকেছিল ক্রেতারা। টেক ব্লগাররা বলছেন, এবার আইফোন ১৩-র ডিজাইনে আরও চমক আনছে কোম্পানি।
প্রিমিয়াম লুকের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া স্পেকস। এই দুইয়ের ওপর ভর করেই বিশ্ব বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাপলের আইফোন। আইওএস অপারেটিং সিস্টেম হওয়ায় আগে থেকেই আইফোনে রয়েছে গ্রাহকদের সুরক্ষা। ফোনের গোপন তথ্য হ্যাক করতে কালঘাম ছোটে হ্যাকারদের। শোনা যাচ্ছে, এবার আরও উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে নজরকাড়া ডিজাইন আনছে আইফোন।
আরও পুরু হতে চলেছে আইফোনের ১৩ মডেল। ফোন পুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে পারে ক্যামেরা বাম্প। এই ক্ষেত্রে বাইরের দিকে কম প্রসারিত হবে ক্যামেরা লেন্স। অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশনের জন্য ফোনের মধ্যে ফিজিক্যাল মেকানিজম দিতে হয় কোম্পানিকে। যার ফলে ক্যামেরা বাম্প অনেক কোম্পানিরই পুরু হয়। যদিও অ্যাপেলের ক্ষেত্রে ১২ সিরিজেই একটু বড় হয়েছে বাম্প। যদিও তাতে গ্রাহকদের খুব একটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি।
ম্যাকরিউমারস-এর রিপোর্ট বলছে, এবারও aCE সিরিজ আনা হচ্ছে iphone 13-এ। যেখানে iphone 13aCE বাদেও দেখা যাবে iphone 13 pro। এই দুই মডেলের থিকনেস হবে ৭.৫৭ এমএম। আগে আইফোন ১২-এ যা ছিল ৭.৪ এমএম। ক্যামেরা বাম্পের ক্ষেত্রেও দেখা যাবে এই পরিবর্তন। আগের iphone 12aCE মডেলে ছিল ১.৫ এমএম থেকে ১.৭ এমএম-এর ক্যামেরা বাম্প। যদিও শোনা যাচ্ছে, ১৩ সিরিজে ২.৫১ এমএম এর ক্যামেরা বাম্প হতে পারে।
এখানেই শেষ নয়। iphone 13 pro মডেলে থাকতে পারে সবথেকে বেশি ক্যামেরা বাম্প। এই মডেলের ক্ষেত্রে ৩.৬৫ এমএম এ ক্যামেরা বাম্প থাকবে ফোনে। মূলত লেন্সকে বাঁচাতেই এই আইফোনের পরবর্তী মডেলগুলিতে ক্যামেরা বাম্প বাড়াতে পারে কোম্পানি। ২০২০ আইপ্যাড প্রো মডেলে এই ধরনের ক্যামেরা বাম্প ব্যবহার করেছে কোম্পানি।
বিভিন্ন টেক সাইটের মতে, নতুন মডেলে 'সেন্সর শিফট স্টেবিলাইজেশন' দেবে অ্যাপল। যা কম আলোতে ফটো তুলতে ও ছবি তোলার সময় হাত কাঁপলে কাজে আসবে। আগে 'অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশ'নের ওপরই ভরসা করত অ্যাপল। এবার নতুন প্রযুক্তি আনতে চলেছে সংস্থা।