নয়া দিল্লি : বার বার বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়েই SBI জেনারেল ইনস্যুরেন্সকে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করল ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (IRDAI)।


SBI জেনারেল ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিমা আইনের ধারা ৩২ডি মানেনি সংস্থা। এমনকী ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (IRDAI)-এর নিয়মকেও 'বুড়ো আঙুল' দেখিয়েছে। IRDAI-এর ২০১৫ নিয়ম অনুসারে, থার্ড পার্টি ইনস্যুরেন্স বিজনেসে ন্যূনতম কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে সংস্থার। এ ক্ষেত্রে যা মানেনি SBI জেনারেল ইনস্যুরেন্স।


২০১৬-১৭ সালে মানা হয়নি ইনস্যুরেন্স অ্যাক্টের ৩২ডি ধারা। সতর্ক করা সত্ত্বেও একই কর্মপদ্ধতি বজায় রাখে এসবিআই ইনস্যুরেন্স । পরবর্তীকালে ২০১৭-১৮ সালেও আইন না মেনেই কাজ করে তারা। ২০১৮-১৯ সালেও একই ধারা বজায় রাখে সংস্থা। বিমা সংস্থা হিসাবে কিছু বাধ্যতামূলক নিয়ম মানতে হত এসবিআইকে। ইনস্যুরেন্সের রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার দাবি, বিমাকারীকে লিখিত মোটর থার্ড পার্টি ইনস্যুরেন্সের কথা উল্লেখ করতে হয়। 


সেই অনুযায়ী ৬৩৮.৩৪ কোটি টাকা জমা করার কথা ছিল এসবিআই জেনারেল ইনস্যুরেন্সের। তার জায়গায় ৩১৬.৩৬ কোটি টাকা জমা করে বিমা কোম্পানি। যার জেরে ৩২১.৯৮ কোটি টাকা কম পড়ে। একইভাবে ২০১৬-১৭ ও ১৭-১৮ সালে যথাক্রমে ১৪৬.১১ কোটি ও ১০৪.৬০ কোটি টাকা কম জমা দেয় এসবিআই জেনারেল ইনস্যুরেন্স।


সংস্থার এই ধারাবাহিক "দায়িত্বজ্ঞানহীনতার" জন্য এসবিআই-এর ওপর ১ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। পরে IRDAI-এর চেয়ারম্যান সুভাষ কে খুনতিয়া জানান, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ সালে নিজেদের পুরোনো অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও সরে এসেছে এসবিআই জেনারেল ইনস্যুরেন্স। এখন বিমাকারী হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব আংশিক পালন করেছে সংস্থা। আইন মেনে কিছুটা হলেও টাকা জমা দিয়েছে তারা। তাই তাদের ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। 


দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, কোভিডকালে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিমা কোম্পানিগুলি। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত জেনারেল ইনস্যুরেন্সের ও স্বাস্থ্যবিমা কোম্পানিগুলি। অনবরত ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে তারা। যদিও অপেক্ষাকৃত ভালো জায়গায় রয়েছে জীবনবিমা কোম্পানিগুলি। মুনাফা কম হলেও ক্ষতির মুখ দেখতে হয়নি তাদের।