Cancelling Charge for Online Shopping: বেশিরভাগ মানুষই এখন অনলাইনে শপিং করে থাকে, অনলাইনেই কেনাকাটা করে থাকে জিনিসপত্র। এতে ঘরে বসেই সব জিনিস পেয়ে যাওয়ার সুবিধে রয়েছে। আর এখানে আরও সুবিধে হল অর্ডার (Online Shopping) করা জিনিস পছন্দ না হলে তা ফেরত দেওয়ার বিকল্পও রয়েছে। কিন্তু এই সুবিধে বেশিদিন আর পাওয়া নাও যেতে পারে। ফ্লিপকার্টের মত বড় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মে অর্ডার বাতিল (Cancellation Charge) করার জন্যও দিতে হতে পারে চার্জ। খুব শীঘ্রই চালু হতে পারে এই নিয়ম।


অর্ডার ক্যান্সেল করলে দিতে হতে পারে চার্জ


সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে যে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট এখন গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার বাতিল করার জন্য একটি চার্জ কাটতে চলেছে। এখন যেমন কোনো গ্রাহককেই অর্ডার বাতিল করার জন্য কোনো চার্জ দিতে হয় না, তবে আগামী দিনে এই সুবিধে আর নাও পাওয়া যেতে পারে। তখন অর্ডার বাতিল করার জন্য আপনাকে কিছু টাকা ফি দিতে হতে পারে। এই চার্জ বা ফি নির্ভর করবে আপনার অর্ডারের মূল্য এবং বাতিল করার সময়ের উপর।


ফ্লিপকার্ট সংস্থার আভ্যন্তরীণ সূত্র অনুযায়ী, এই প্ল্যাটফর্মে সমস্ত বিক্রেতা এবং ডেলিভারি পার্টনারদের ক্ষতি বাঁচাতে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে এও জানানো হয়েছে যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্ডার বাতিল হলে কোনো চার্জ নেওয়া হবে না। তবে এখনও এই নিয়ম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগ করেনি ফ্লিপকার্ট। বিক্রেতাদের স্বার্থে, জালিয়াতি রোধ করার জন্য এই বদল আনা হতে পারে। একইসঙ্গে এই নিয়ম মিন্ত্রার মত অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতেও কার্যকর হতে পারে।


গ্রাহকদের কী করা উচিত


আপনি যদি নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটা করেন, তাহলে এই সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা আবশ্যিক। কোনো অপ্রয়োজনীয় চার্জ বা ফি এড়াতে অর্ডার বাতিল করার আগে সমস্ত নিয়ম, শর্তাবলী পড়ে নেওয়া দরকার। ফ্লিপকার্টের এই উদ্যোগ মূলত বিক্রেতা এবং গ্রাহকদের মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরির প্রচেষ্টা বলা যেতে পারে। এই নিয়ম আপনার কেনাকাটার অভ্যাসকেও বদলে দেবে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের অস্থিরতায় 'লাফাচ্ছে' ভারতের এই শিল্প, অনেক কিছু হাতছাড়া হচ্ছে ইউনূস সরকারের