RBI DIGITA: নতুন একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। এই এজেন্সির নাম হবে Digital India Trust Agency (DIGITA)। আজকাল বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে ঋণ দেওয়া হয়। ক্রমশ এইসব অ্যাপের বিস্তার ঘটছে। আর তা রুখে দেওয়ার জন্যই ডিজিটাল ইন্ডিয়া ট্রাস্ট এজেন্সি নির্মাণের কথা ভাবছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সম্প্রতি পিটিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই DIGITA আসলে কী, কীভাবে কাজ করবে এবং কী কাজ করবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক
বলা হচ্ছে, যেসমস্ত অ্যাপের ক্ষেত্রে DIGITA- র দেওয়ার ভেরিফায়েড ট্যাগ থাকবে না, সেগুলিকে আন-অথরাইজড বলে স্বীকৃত করা হবে। অর্থাৎ যেসমস্ত ঋণপ্রদানকারী অ্যাপের কাছে DIGITA- র দেওয়া 'ভেরিফায়েড' ট্যাগ নেই, সেগুলিকে আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অনুমোদনপ্রাপ্ত নয় বলেই ধরে নেওয়া হবে। ডিজিটাল মাধ্যমে বর্তমানে আর্থিক অপরাধের ছড়াছড়ি রয়েছে। সামান্য অসাবধানতা যে কী মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে তা কল্পনারও অতীত। এইসব ডিজিটাল ক্রাইম বলা ভাল, ডিজিটাল মাধ্যমে হওয়া আর্থিক অপরাধ রুখে দেওয়ার জন্যে একটি উল্লেখ্যযোগ্য 'চেকপয়েন্ট' হিসেবে কাজ করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার DIGITA- এই বিশেষ এজেন্সি। একবার এই এজেসির প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে বিভিন্ন ঋণপ্রদানকারী অ্যাপগুলিকে কিংবা এমন অ্যাপ যার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সম্ভব, সেগুলিকে যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হবে এই নতুন এজেন্সির হাতে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাবিত এই এজেন্সির কাজ হবে যাবতীয় ডিজিটাল ঋণপ্রদানকারী অ্যাপগুলিকে যাচাই করা এবং যেগুলি 'ভেরিফাই' স্বীকৃতি পাবে তার একটি রেজিস্টার তৈরি করে রাখা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার Digital India Trust Agency (DIGITA) এজেন্সির মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিভিন্ন ডিজিটাল ঋণপ্রদানকারী অ্যাপের যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এর ফলে ওই সমস্ত অ্যাপের কার্যকারিতা স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ ভাবে বোঝা যাবে। এছাড়াও ডিজিটাল মাধ্যমে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ওই অ্যাপগুলির স্বকীয়তা তৈরি হবে। আজকাল ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে ঋণ প্রদানের নাম করে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমেও গ্রাহকদের ঠকিয়ে নেওয়ার কারবার চলতে থাকে ব্যাপক ভাবে। এই সমস্ত বিষয়গুলি বন্ধ করার জন্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া Digital India Trust Agency (DIGITA) এজেন্সি নির্মাণের প্রস্তাব জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ৪৪২টি ডিজিটাল ঋণপ্রদানকারী অ্যাপের তালিকা পাঠানো হয়েছে। গুগলের হোয়াইটলিস্টিংয়ের জন্য এইসব অ্যাপের নাম পাঠানো হয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২৩ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত গুগল কর্তৃপক্ষ ২০০০- এর বেশি ডিজিটাল ঋণপ্রদানকারী অ্যাপ সরিয়ে ফেলেছে তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে। সম্প্রতি গুগল একটি নতুন নিয়ম-নীতি লাঘু করেছে। নতুন নিয়ম অনুসারে গুগল কর্তৃপক্ষ তাদের প্লে স্টোরে শুধুমাত্র সেই সমস্ত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অ্যাপকে রাখে যেগুলি আরবিআই নিয়ন্ত্রিত সত্তা দ্বারা পাবলিশ করা হয়েছে অথবা আরবিআই নিয়ন্ত্রত সত্তার সঙ্গে অংশীদারিত্বে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ছাড়াও গুগলের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা অর্থনৈতিক পরিষেবা প্রদানকারী বিভাগের তরফে।
আরও পড়ুন- প্রকাশ্যে আইটেল এস২৪ ফোনের ডিজাইন, ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন, ইউজারদের জন্য কী কী রয়েছে?