Phishing Site: এসএমএসের মাধ্যমে ভারতের ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলার ছক কষছে একটি নতুন Phishing। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন Cyber Security Researcher- রা। মূলত অ্যাপের মাধ্যমে এসএমএস পাঠিয়েই ভারতের ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জালিয়াতির ফাঁদে ফেলার চেষ্টায় রয়েছে এই নতুন Phishing Site। জানা গিয়েছে, এই Phishing Site ভিক্টিমের ব্যাঙ্কের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি এবং ওই ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্যও হাতিয়ে নেয়। এরপর ওই ভিক্টিমদের ডিভাইসে একটি অ্যান্ড্রয়েড এসএমএস ফরওয়ার্ডিং ম্যালওয়্যার ডাউনলোড হয়। আর তার মাধ্যমেই যাবতীয় প্রতারণার শিকার হন ওই ব্যক্তিরা। আর্টিফিশিয়াল সাইবার-সিকিউরিটি ফার্ম CloudSEK এই তথ্য প্রকাশ করেছে। যে রিসার্চ টিম এই জালিয়াতির উৎস নিয়ে কাজ করছে, গবেষণায় তারা জানতে পেরেছে যে একাধিক ডোমেন রয়েছে যাদের মাধ্যমে এই জালিয়াতি চলে। ডোমেন বিভিন্ন হলেও তাদের লক্ষ্য একটাই। কাজের ধরনেও রয়েছে মিল।


CloudSEK সংস্থার Cyber Threat Researcher অংশুমান দাস জানিয়েছেন, এই জালিয়াতি রুখতে হলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকেও দায়িত্ব নিতে হবে। গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এই ধরনের আর্থিক প্রতারণার ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। সুচারুভাবে ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা যাতে আর্থিক এবং ব্যক্তিগত ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে চলতে পারেন, সেই ব্যাপারে অবগত করতে হবে। একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, যেটি ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের সার্ভিস অ্যাপ রূপে কাজ করছে। আর এর মাধ্যমেই ঘটছে যাবতীয় সমস্যা। 


কীভাবে কাজ করে এই হ্যাকাররা


প্রথমে ভিক্টিমদের একটি ভুয়ো কমপ্লেন পোর্টালে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে হয়। যেমন- কার্ড নম্বর, CVV, কার্ডের মেয়াদ এইসব তথ্য দিয়ে ওই ফর্ম পূরণ করেন গ্রাহকরা। এইসব তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে ভিক্টিমদের ডিভাইস, মূলত ফোনে একটি malicious customer support application ডাউনলোড হয়ে যায়। এর মাধ্যমেই জালিয়াতির শিকার হন অসংখ্য মানুষ। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত Phishing Website- এ কোনও ভারতীয় ব্যাঙ্কের নাম বা লোগো ব্যবহার করা হয় না। এমনকি এই সমস্ত অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরেও পাওয়া যায় না। থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন সাইটেও এইসব অ্যাপের হদিশ পাওয়া যায় না। গ্রাহকরা যাতে কোনও ভাবেই প্রতারণা বুঝতে না পারেন সেই জন্যই এভাবে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।


আরও পড়ুন- কাজ করছে না ট্যুইটার! অ্যাপ থেকে ওয়েবসাইট সমস্যা সর্বত্র, ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা