Twitter Edit Option: বহুদিন ধরে ট্যুইটারে (Twitter) একটি ফিচার (Twitter Features) চালু করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ট্যুইটারিয়ানরা। অবশেষে সেই ফিচারের রোল আউট শুরু হতে চলেছে বলে শোনা গিয়েছে। এতদিন ট্যুইটারে কোনও এডিট অপশন ছিল না। অর্থাৎ ট্যুইট এডিট করা যেত না। এবার সেই ফিচারই চালু করতে চলেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ ট্যুইট এডিট (Twitter Edit Option) করার সুবিধা পাবেন ট্যুইটারিয়ানরা। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ব্লু টিক’ অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা এই ফিচারের সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ যেসব ট্যুইটারিয়ানের ব্লু টিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ট্যুইটারের এডিট অপশনের রোল আউট শুরু হবে।
শোনা গিয়েছে, ট্যুইট করার আধঘণ্টা অর্থাৎ ৩০ মিনিট পর পর্যন্ত ট্যুইট এডিটের সুযোগ পাওয়া যাবে। এডিটেড ট্যুইটের সঙ্গে অরিজিনাল ট্যুইটও দেখা যাবে। ফলে কী পরিবর্তন হয়েছে এবং কখন হয়েছে তা বোঝা যাবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্যুইটারের ব্লু টিক অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রে এডিট অপশনের রোল আউট শুরু হবে বলে শোনা গিয়েছে। এর পাশাপাশি এও শোনা গিয়েছে যে ট্যুইটারের এই নতুন ফিচার একটি দেশে প্রথম রোল আউট করা হবে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে অন্যান্য দেশে।
ট্যুইটার ব্লু ইউজার
ট্যুইটারের এই ব্লু অপশন হল আসলে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন। এর সাহায্যে ট্যুইটারের অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন ইউজাররা। শুধু তাই নয়, আসন্ন ফিচারের সুবিধাও পাবেন তাঁরা। তাও আবার অন্যান্য ট্যুইটারিয়ানদের থেকে আগে।
ট্যুইটারে এডিট অপশন
ট্যুইট করার ৩০ মিনিট পরে পর্যন্ত তা এডিটের সুযোগ পাওয়া যাবে। বানান ভুল থাকলে কিংবা ভুল হ্যাশট্যাগ থাকলে বদলে নিতে পারবেন ট্যুইটারিয়ানরা। এডিট হওয়া ট্যুইট অর্থাৎ এডিটেড ট্যুইট একটি আইকনের সাহায্যে বোঝানো হবে। এর সঙ্গে থাকবে একটি টাইমস্ট্যাম্প এবং একটি লেবেল। অর্থাৎ ট্যুইট যে এডিট করা হয়েছে এবং তা কখন হয়েছে সবই বোঝা যাবে। অনেকদিন ধরেই ট্যুইটারে এই এডিট অপশন যোগ করার জন্য আবেদন জানাচ্ছিলেন ট্যুইটারিয়ানরা। অবশেষে সুখবর দিয়েছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর এপ্রিল মাসেই ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন যে এডিট অপশন চালু করার ব্যাপারে তাদের ভাবনাচিন্তা রয়েছে। এবার শোনা গেল যে অবশেষে ট্যুইটে এডিট অপশনের ফিচারের রোল আউট শুরু হতে চলেছে। তবে কবে এই ফিচার চালু হবে নিশ্চিত ভাবে এখনও তা জানা যায়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোন দেশে এই ফিচারের রোল আউট প্রথমে শুরু হবে সেটাও স্পষ্ট নয়।
আর পড়ুন- চলতি বছর জুলাই মাসে ভারতে ২.৩ মিলিয়নের বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ