নয়াদিল্লি: মুখোমুখি লড়াইয়ে পেরে না উঠে, বিধায়ক কিনে বিজেপি দিল্লি দখলের চেষ্টা করছে বলে দিন কয়েক আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এ বার দিল্লি বিধানসভায় আস্থাভোটে জয়ী হয়ে আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেন দিল্লির (Delhi Trust Vote) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় আপের বিধায়ক সংখ্যা ৬২। বিজেপি-র (BJP) বিধায়ক সংখ্যা ৮। আস্থাভোটে কেজরিওয়াল সরকারের পক্ষে ভোট পড়েছে ৫৮।
দিল্লিতে আস্থাভোটে জয়ী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার
আবগারি নীতি-দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার পরই আপ জানায়, দিল্লিতে ঘোড়া কেনাবেচার খেলায় নেমেছে বিজেপি। দলের বিধায়কদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে তারা। একা এলে ২০ কোটি, সঙ্গে কাউকে নিয়ে এলে ২৫ কোটি টাকা মিলবে বলেও বিজেপি-র তরফে আপ বিধায়কদের প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলে আপ।
এর পরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে নিজেই আস্থাভোটের দাবি তোলেন কেজরিওয়াল। তাতেই এ বার জয়ী হলেন তিনি। জয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে আপের একজন বিধায়ককেও কিনতে পারেনি বিজেপি। আমাদের ৬১ জন বিধায়ক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন এই মুহূর্তে দেশের বাইরে রয়েছেন বলে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারেননি। একজনকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আর একজন বিধানসভার স্পিকার।’’
আরও পড়ুন: Durga Puja Rally: দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে পদযাত্রা, কটাক্ষ অমিত মালব্যর
দিল্লিতে তাঁর আমলে শিক্ষার উন্নতি নিয়ে এর আগেও কথা বলতে শোনা গিয়েছে কেজরিওয়ালকে। এ দিন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।বলেন, ‘‘আমি একজন সাধারণ নাগরিক। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। তার পরও আইআইটি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছি। মানুষ সুযোগ দিয়েছেন বলেই আজ আমি এই জায়গায়। আমার দুই সন্তানও আইআইটি পড়ুয়া। নিজে যেমন উচ্চশিক্ষা লাভ করেছি, আমার ছেলেমেয়েরা যেমন উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছে, দেশের সব ছেলেমেয়েকে সেই সুযোগ করে দিতে চাই আমি।’’
শিক্ষা নিয়ে বিজেপি-কে তীব্র কটাক্ষ কেজরিওয়ালের
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের বিজেপি— বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া আপ। তাই শিক্ষার প্রশ্নেই এর পর বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে জাতীয় স্তরে মুখোমুখি দুই দল, একটি দল অত্যন্ত সৎ, দলের নেতারা সকলে শিক্ষিত, আইআইটি পাশের আসল ডিগ্রি রয়েছে সকলের কাছে। আর একটি দল, আদ্যোপান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত। শিক্ষিত লোকই নেই। বিধায়ক কিনতে মাথাপিছু ২০-৩০ কোটি টাকা খরচ করছে। স্কুল-হাসপাতাল গড়ে কি অন্যায় করছি আমি?’’
দিল্লির পাশাপাশি পঞ্জাবেও এই মুহূর্তে আপ সরকার। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাতেও খাতা খুলতে মরিয়া তারা। সিসোদিয়ার বাড়িতে ‘পরিকল্পিত’ তল্লাশি চালানোর পরি গুজরাতে তাঁদের পক্ষে সমর্থন ৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন কেজরিওয়াল। সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করলে সমর্থন আরও বাড়বে বলেও দাবি করেন।