Twitter Lays Off Employees In India: আশঙ্কাই সত্যি হল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ট্যুইটারের ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়ল ভারতেও। দেশে ৯০ শতাংশ কর্মীকে সরিয়ে দিল ট্যুইটার। এলন মাস্ক ট্যুইটার কেনার পরই কোপ পড়ল কর্মীদের ওপর।
Twitter Lays Off: পরিসংখ্যান বলছে, ট্যুইটারের প্রায় ২০০ কর্মী ভারতে কাজ করছিলেন, যার মধ্যে ৯০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ছাঁটাইয়ের পরে, ভারতে মাত্র কিছু কর্মচারী অবশিষ্ট রয়েছে। সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কেনেন ধনকুবের এলন মাস্ক। কোম্পানির সিইও পরাগ আগরওয়াল সহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন তিনি। কোম্পানি কেনার পরই বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ছাঁটাই করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ট্যুইটারের নতুন মালিক। ভারতে ট্যুইটার যে কর্মচারীদের বরখাস্ত করেছে তাদের প্রায় ৭০ শতাংশ প্রোডাক্ট ও বাকিরা ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে ছিলেন।
Twitter Lays Off: এখন কত কর্মী ট্যুইটারে ?
এর বাইরে মার্কেটিং, পাবলিক পলিসি ও কর্পোরেট কমিউনিকেশন টিম থেকেও অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ট্যুইটার সান ফ্রান্সিসকোতে সদর দফতর, বিশ্বব্যাপী তার অর্ধেক কর্মীকে বরখাস্ত করেছে । এখন কোম্পানির মোট কর্মী সংখ্যা ৩,৭০০-তে নেমে এসেছে।
Twitter Lays Off: কর্মীদের ইমেল পাঠানো হয়েছে আগেই
শুক্রবার ছাঁটাই হবে বলে কোম্পানি কর্মীদের একটি মেইল পাঠিয়েছে। যদিও ভারতে প্রায় পুরো দলকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। টুইটারের মালিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, মাস্ক প্রথমে ৪ জন বড় কর্মকর্তাকে একটি ইমেল পাঠিয়ে সরিয়ে দেন। এর মধ্যে ছিলেন কোম্পানির সিইও পরাগ আগরওয়াল। টুইটার থেকে কর্মীদের পাঠানো মেইলে বলা হয়েছে, টুইটারকে আরও সুস্থ্য করে তুলতে আমরা বিশ্বব্যাপী কর্মী সংখ্যা কমানোর কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে চলেছি।
Twitter Lays Off:ভারতে হিমশিম খাবে ট্যুইটার
প্রশ্ন উঠছে,এত কর্মী কমিয়ে কীভাবে ভারতে কোম্পানি চালাবে ট্যুইটার। মূলত, রাজনৈতিক পোস্টের ভিড় থাকায় দেশে ট্যুইটার নিয়ন্ত্রণ একটা বড় কাজ। যেখানে রাজনৈতিক দল ও নেতারা একে অপরকে প্রতিদিন দোষারোপ করে। যার জেরে নিত্যদিন বেশিরভাগ বিভ্রান্তিকর তথ্য টুইটারে পোস্ট করা হয়। এবার যা সামলাতে হিমশিম খেতে হবে কোম্পানির কর্মীদের। কীভাবে এই বিশাল কাজ কম কর্মীদের নিয়ে সম্ভব হবে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি ট্যুইটার। এখানে বহু ভাষায় একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশবাসী । টুইটারের বর্তমানে ভারতে ৩টি অফিস রয়েছে, যা রাজধানী দিল্লি, মুম্বই ও ব্যাঙ্গালোরে অবস্থিত।