ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু হওয়ার আগে থেকেই দেশে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ৫জি ফোন লঞ্চ করেছে। যদি আপনার ৫জি ফোন কেনার পরিকল্পনা থাকে তাহলে অতি অবশ্যই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর রাখুন। এইসব ফিচার থাকলে তবেই ৫জি ফোন কেনা উচিত। তাহলে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ফিচার থাকলে আপনি ৫জি ফোন কিনবেন।


৫জি সার্ভিস সাপোর্ট করবে এমন চিপসেট- ৫জি ফোন কিনতে হলে অবশ্যই ৫জি সার্ভিস সাপোর্ট করবে এমন চিপসেট রয়েছে তেমন ফোন কেনা উচিত। কোয়ালকম এবং মিডিয়াটেক- এই দুই সংস্থার চিপসেট থাকে ৫জি ফোনে। কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৪৮০, স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর হল ৫জি চিপসেট। অন্যদিকে মিডিয়াটেকের বেশিরভাগ ডিমেনসিটি চিপসেটও ৫জি সার্ভিস সাপোর্ট করে।


৫জি ব্যান্ড- ৫জি ফোন কেনার আগে জেনে নিন কোন কোন ৫জি ব্যান্ড ভারতে চালু হতে যাচ্ছে। সেই সমস্ত ৫জি ব্যান্ডের সাপোর্ট থাকলে তবেই সেই ফোন কিনুন। যে ফোন কিনতে চলেছেন সেখানে একাধিক ৫জি ব্যান্ডের সাপোর্ট থাকা ভাল।


ফোনে নিয়মিত আপডেট- ফোনে ৫জি পরিষেবা পেতে হলে তার জন্য নির্দিষ্ট আপডেট পেতে হবে। তবেই ফোনে ৫জি সার্ভিস অ্যাক্টিভেট হবে। অ্যাপেল, স্যামসাং এবং গুগল- এইসব ব্র্যান্ডের ফোনে ৫জি পরিষেবা পাওয়া যাবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এইসব সংস্থার ফোনে ৫জি আপডেটের রোল আউট শুরু হবে।


শক্তিশালী ব্যাটারি- ৫জি ফোনে শক্তিশালী ব্যাটারি থাকা প্রয়োজন। অন্তত ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি থাকলে তবেই সেই ফোন ভাল ৫জি ফোন হবে। এর সঙ্গে ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকাও প্রয়োজন। অতএব ভাল ব্যাটারি এবং ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকা প্রয়োজন।


কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ওড়িশার অন্তত চারটি শহরে ৫জি পরিষেবা চালু হবে। আর প্রায় সমগ্র ওড়িশা জুড়ে (প্রায় ৮০ শতাংশ) আগামী বছর শেষের মধ্যে ৫জি সার্ভিস চালু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চের মাসের মধ্যে ভারতে ২০০-র বেশি শহরে ৫জি পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর পরের পর্যায়ে আরও অনেক ছোট শহর এবং গ্রামীণ এলাকাতেও ৫জি সার্ভিস চালু করা হবে। অর্থাৎ ৫জি নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটবে ভারতজুড়ে।


আরও পড়ুন- প্যান আপডেট করার নামে প্রতারণা ! আপনার কাছেও এসেছে এই বার্তা ?