Tech News: আপনি যদি হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন এবং আগামী দিনে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এই খবরটি জেনে রাখা জরুরি। রাশিয়া এখন এই দুই বিদেশি মেসেজিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে এবং এর বদলে 'ভ্ল্যাডস অ্যাপ' নামে সম্পূর্ণ দেশীয় একটি সরকারি অ্যাপ চালু করতে চলেছে বলেই জানা গিয়েছে।

এই অ্যাপের নামকরণ করা হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামে। এর লক্ষ্য হল দেশের মধ্যে ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব সহ একটি শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা। রাশিয়ান সংসদ স্টেট ডুমা দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে এই অ্যাপ, কেবলমাত্র প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

ভ্ল্যাডস অ্যাপ আসলে কী

এই ভ্যাল্ড অ্যাপটি কেবলমাত্র মেসেজিং বা চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং এটি দেশের ডিজিটাল পরিষেবার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সংযুক্ত থাকবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ডিজিটালভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবেন। অনলাইনে টাকা লেনদেন করতে পারবেন এই অ্যাপে, শিক্ষামূলক পোর্টালগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে পারবেন এবং অন্যান্য সরকারি পরিষেবাও গ্রহণ করতে পারবেন, সরকারের অনুমোদনে।

রাশিয়ার ডিজিটাল উন্নয়নমন্ত্রী মকসুদ শাদায়েভ জানিয়েছেন এই ধরনের একটি দেশীয় এবং নিরাপদ বিকল্প চালু করা আজ রাশিয়ার জন্য জাতীয় অগ্রাধিকারের বিষয়। তিনি বিশ্বাস করেন অন্যান্য দেশ এই ক্ষেত্রে রাশিয়াকে ছাপিয়ে গিয়েছে এবং এখন তাই এর ক্ষতিপূরণ দেওয়া দরকার।

কেন হোয়াটসঅ্যাপ টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ করা হবে

রাশিয়ান এমপি তথা সাংসদ সের্গেই বোয়ারস্কি জানিয়েছেন যে বিদেশি অনিরাপদ অ্যাপের বিকল্প হিসেবে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এটি রাশিয়ার ডিজিটাল স্বয়ংসম্পূর্ণতার অভিযানের চূড়ান্ত পদক্ষেপ হতে পারে যা বিগত কয়েক বছরে সাইবার উত্তেজনা ও পশ্চিমি দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার কারণে আরও গতি পেয়েছে। রাশিয়ার সরকার যদি এই অ্যাপগুলি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে দেয় তাহলে লক্ষ লক্ষ রাশিয়ান ব্যবহারকারী ভ্ল্যাডস অ্যাপ ব্যবহার করতে বাধ্য হবেন, রাশিয়ার ডিজিটাল পরিবেশ এভাবে চিনের মত আরও বদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।

বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে রাশিয়ার ইন্টারনেট

ভ্ল্যাডস অ্যাপটি কেবল হবে রাশিয়ান নাগরিকদের জন্য। আন্তর্জাতিক ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। এর ফলে রাশিয়ার ইন্টারনেটকে বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। সরকারের তরফে এই অ্যাপটিকে নিরাপদ ও সম্মতি-ভিত্তিক বলে দাবি করা হয়েছে। তবে অনেকে একে রাষ্ট্রীয় নজরদারি এবং সেন্সরশিপের উপায় বলেও মনে করছেন।