YouTube New Rule: লাইভস্ট্রিমিং নীতিতে বড় বদল আনল ইউটিউব। এই নতুন বিধির অধীনে কোনও ক্রিয়েটর তখনই একাকী লাইভস্ট্রিম করতে পারবেন যখন তাঁর বয়স ১৬ বছরের বেশি হবে। অর্থাৎ নাবালক হলে ইউটিউবে (YouTube) লাইভস্ট্রিম করা যাবে না। আগামী ২২ জুলাই থেকে এই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। এর আগে এই বয়সসীমা ছিল ১৩ বছর। অর্থাৎ এই নতুন নিয়ম অনুসারে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী ক্রিয়েটরদের লাইভস্ট্রিম (YouTube Live) করতে হলে তাদের বাবা-মায়ের সহায়তা জরুরি।

নতুন নিয়মে কী বলা হয়েছে

ইউটিউবের নতুন নিয়ম অনুসারে যদি কোনও ইউটিউবারের বয়স ১৬ বছরের কম হয় তাহলে তাঁকে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে সেই লাইভস্ট্রিম করতে হবে। আর তারপরে সে এডিটর হতে পারবে, লাইভস্ট্রিম ম্যানেজ করতে পারবে বা নিজের প্রাপ্তবয়স্ক পৃথক চ্যানেল গড়তে পারবে। এর ফলে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি সেই ইউটিউবারের চ্যানেল থেকে লাইভস্ট্রিম শুরু করতে এবং একই দর্শকদের কাছে কনটেন্ট পৌঁছে দিতে পারবেন।

এখন বাড়বে পারিবারিক লাইভস্ট্রিমের ট্রেন্ড

এই পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব হতে পারে যে এখন থেকে আরও বেশি সংখ্যক পরিবার ইউটিউবে লাইভস্ট্রিম করবে একসঙ্গে। এখন ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের একা একা লাইভে যাওয়ার অনুমতি নেই। তাই বাবা-মা কিংবা অভিভাবকদের কেবল প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণই নয়, বরং লাইভস্ট্রিমের সময় শিশুদের উপরে নজরদারিও রাখতে হবে। এতে শিশু এবং বাবা-মায়ের মধ্যে একটি নতুন ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।

কী কী সুবিধে রয়েছে

যদি পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে লাইভ স্ট্রিম করেন তাহলে এটি কেবল শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তাই নয়, বরং একসঙ্গে সময় কাটানোর একটি নতুন ডিজিটাল উপায়ও হয়ে উঠতে পারে। যারা ইউটিউবকে ক্রিয়েটিভ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখেন বা ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে এই নীতি কার্যকরী হবে।

যদিও পারিবারিক লাইভস্ট্রিম শুনতে ভাল শোনালেও এক্ষেত্রেও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। লাইভ হওয়ার অর্থ হল সবকিছু তাৎক্ষণিকভাবে সবার সামনে চলে আসা। এমন পরিস্থিতিতে গোপনীয়তার প্রশ্ন উঠতে পারে। কোন বিষয় প্রকাশ্যে আনা যেতে পারে বা কোন বিষয়টি গোপন রাখা উচিত তা সম্পর্কে বাবা-মা এবং শিশুদের স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। লাইভস্ট্রিম যাতে আকর্ষণীয় হয় এবং ইউটিউবের নিয়ম যাতে কোনওভাবেই লঙ্ঘন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।