আগরতলা: বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটলেও মোটের উপর শান্তিতেই মিটল ত্রিপুরায় (Tripura Election 2023)। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, ৮০ শতাংশের উপর ভোট পড়েছে ত্রিপুরায়। তবে কত শতাংশ ভোট পড়ল তা স্পষ্ট হবে শুক্রবার। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এমন কোনও নালিশ করা হয়নি যেখানে পুননির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।


কী জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন:
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বড়সড় কোনও হিংসা ঘটনা ঘটেনি। কোনও প্রার্থীর উপর বা কোনও প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের উপর হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভোটারদের ভয় দেখানোরও কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বোমা ছোড়া, ইভিএম- নষ্ট করার মতো ঘটনাও ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৬৮টি repoll হয়েছিল। এবার ৬০টি আসনে নির্বাচনে কোনও Repoll চাওয়া হয়নি।


যে ভোটাররা ৪টার আগে ভোট দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের ৬টা বেজে গেলেও ভোট দিতে দেওয়া হয়েছে। পিটিআইকে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ইউ জে মোগ জানিয়েছিলেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা ত্রিপুরায় গড়ে ৮১.১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেই সময়ে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বহু লোক। 


ইভিএম নষ্ট:
কয়েকটি জায়গায় ইভিএম (EVM) খারাপ হওয়ার অভিযোগ এসেছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মোটামুটি ৪০-৪৫টি আসনে ইভিএম মেশিন নষ্ট হওয়ার খবর মিলেছে। সেগুলি পাল্টে দেওয়া হয়েছে, ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়নি। 


এবার নিজেদের ভোট দিয়েছেন ব্রু পরিযায়ী ভোটাররাও (Bru Migrant Voters)। অনেক বছর পরে তাঁরা ভোট দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।          


হিংসার অভিযোগ:
গোমতী জেলার কাঁকড়াবন-শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএমের দুই পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। পুরনো আগরতলার খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নাথপাড়ায় ভোটারদের বাধা, লাঠি দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। নাথপাড়া এলাকার একটি বুথের ঘটনা। অন্যদিকে, শান্তিরবাজার বিধানসভার কালাছড়াতেও গন্ডগোল বাধে। অভিযোগ, বিজেপির হাতে আক্রান্ত হন দুই সিপিএম কর্মী। শান্তিরবাজার নিয়ে গতকালই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বামেরা। দুটি ক্ষেত্রেই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। 
ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভবানীপুর ও দুর্লভপুরে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন ভোটাররা। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যায়। গন্ডগোলের দায় বাম-কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়েছে গেরুয়া শিবির। 


আরও পড়ুন: 'নতুন ভারতে'র খোঁজে ফিরছে এবিপি নেটওয়ার্ক Ideas Of India