Fake Vaccination Camp: ফিরহাদ, সুদীপ, নয়নার সঙ্গে ফলকে দেবাঞ্জন!
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appভুয়ো ভ্য়াকসিন কাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ফিরহাদ, সুদীপ, নয়না, অতীনের সঙ্গেই ফলকে রয়েছে দেবাঞ্জন দেবের না। পশ্চিমবঙ্গের যুগ্ম সচিব পরিচয়ে নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে একটি ফলকে নাম রয়ছে দেবাঞ্জন দেবের। তালতলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মূর্তির ফলকের নিচে নাম রয়েছে কসবায় ভুয়ো প্রতারণাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের।
কসবা দেবাঞ্জনের অফিস থেকে মিলল কোভিশিল্ডের ফেক লেভেল। দেবাঞ্জনের কম্পিউটারেও পাওয়া গেল ফেক লেভেল। এনক্যাসিন-৫০০ ইঞ্জেকশনর ওপর লাগানো হত কোভিশিল্ডের লেভেল। ওষুধের দোকান থেকে কেনা হত এনক্যাসিন-৫০০ ইঞ্জেকশন। জয়েন্ট কমিশনার পরিচয় দিয়ে দোকান থেকে এনক্যাসিন কিনত দেবাঞ্জন। এমনটাই দাবি পুলিশের। কোভিশিল্ডের আড়ালে এনক্যাসিন-৫০০ ইঞ্জেকশন।
কসবা প্রতারণা কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি করল কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সিএমওএইচ (CMOH) বলেন, "কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে দেওয়াই হয়নি কোভিশিল্ড কিংবা কোভ্যাক্সিন। কোনও ভায়ালেই ছিল না ব্যাচ নম্বর, এক্সপায়ারি ডেট। কোনও ভায়ালেই ছিল না ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট। করোনার ভ্যাকিসিনের মতো দেখতে ভায়ালে ভ্য়াকসিনেশন। করোনার নামে সম্ভবত হাম কিংবা বিসিজির ভ্যাকসিনেশন।"
এই নিয়ে চিকিৎসক অজয় সরকার বলেন, "এটা আমি আগেই টিভিতে দেখে বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা ভ্যাকসিন হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ ভ্যাকসিন ওরকম ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা একটা জল যাতীয় তরল তার সঙ্গে কোনও কেমিক্যাল অ্যানালিসিস মেশানো হয়ে থাকতে পারে। আমার মনে হয় এর থেকে কোনও রিয়্যাকশন হল কি না তা টেস্ট করা উচিত। যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের নাম, ঠিকানা কিছু আছে কি না সেটাও দেখা উচিত। শুধু জল থাকলে কোনও প্রতিক্রয়া দেখা দেওয়ার কথা না। এটার সঙ্গে যদি এমন কোনও বস্তু গিয়ে থাকে যার অ্যান্টিজেনিক ক্যারেক্টার নেই তাহলে আংশিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু তরলের মধ্যে যদি কোনও প্রোটিন জাতীয় পদার্থ থাকে তাহলে প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সিরিয়াস প্রতিক্রিয়াও হতে পারে।"