যুক্তি তক্কো পর্ব ১:এজেন্সির ফাঁসে যখন বিধায়ক থেকে মন্ত্রী।বিল-বিরোধী ঘাসফুল বলে,‘পদ্মই ষড়যন্ত্রী’
ABP Ananda LIVE: "তিরিশ দিন গারদবাসে হারাতে হবে গদি'— সংশোধনীর ঢিলে তোলপাড় রাজনীতির নদী! এজেন্সির ফাঁসে যখন বিধায়ক থেকে মন্ত্রী, বিল-বিরোধী ঘাসফুল বলে, ‘পদ্মই ষড়যন্ত্রী’।" বক্তা—মোনালিসা মাইতি, কুণাল ঘোষ, কৌস্তভ বাগচি, বাদশা মৈত্র, নজরুল ইসলাম, সমীর চক্রবর্তী, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাস।
উনিশশো বাহাত্তর সালে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায় গাইলেন---"খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার,এই তোমাদের পৃথিবী।" তবে ইদানীং, আমাদের পৃথিবীতে যেটা ঘটছে, সেটাও কিন্তু এক অর্থে ওই খিড়কি আর সিংহদুয়ারের মধ্যে দড়ি-টানাটানি। মোদি সরকারের একশো তিরিশতম সংবিধান-সংশোধনীর কথাই ধরুন। যা বলছে, তিরিশ দিন গারদে কাটালে, পদ হারাবেন মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, এমনকী প্রধানমন্ত্রী। আর বিরোধীরা বলছে, গণতন্ত্রের সিংহদুয়ার দিয়ে এই বিল পাস করে আসলে, খিড়কি দিয়ে এজেন্সি ঢুকিয়ে, বিরোধীদের চেয়ারচ্যুত করতে চাইছে বিজেপি। আবার গতকাল আমাদের রাজ্যে দেখলাম, সিংহদুয়ারে ED পৌঁছতেই, খিড়কির দরজা দিয়ে পিঠ-টান দিচ্ছেন নেতা। কিন্তু শেষপর্যন্ত নেতা নর্দমায়, কাদায় মাখামাখি, এমনকী তাঁর ফোনটাও উদ্ধার হল নর্দমার কাদা থেকে। ব্যাস, কাদা নিয়েই খুলে গেল মহা-তরজার সিংহদুয়ার। ঘাসফুল বলছে, কাদাতেই তো পদ্ম ফোটে। প্রধানমন্ত্রী এই রাজ্যে সভা করে যাওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ED নেমে পড়েছে 'ইলেকশন ডিউটিতে'। উল্টোদিকে পদ্মফুল বলছে, কাদা-মাখা বিধায়কের গায়ের কাদা, আসলে দুর্নীতির কাদা। আর সেটা লেগেছে রাজ্য সরকারের গায়ে।